ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এআই কেড়ে নেবে ৪০ শতাংশ চাকরি : আইএমএফ

এআই কেড়ে নেবে ৪০ শতাংশ চাকরি : আইএমএফ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরির বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ধারণা করা হচ্ছে, এআইয়ের কারণে আগামী দিনে অনেক মানুষের চাকরি সংকটের সম্মুখীন হবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিশ্লেষণের বরাতে এমনটাই জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।

এক ব্লগ পোস্টে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সার্বিক অসমতাকে আরও খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তাই এই উদ্বেগজনক প্রবণতা মোকাবিলায় নীতিনির্ধারকদের উচিত এ প্রযুক্তিকে আরো সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা থেকে রোধ করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখা। আয় বৈষম্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব মূলত প্রযুক্তিটি মোটা বেতনধারী কর্মীদের কতটা পরিপূরক হতে পারবে তার ওপর নির্ভর করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। জর্জিয়েভা বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে কিছু প্রতিষ্ঠানের মোটা বেতনধারী কর্মীরা এআই ব্যবহার করে তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে। ফলে সৃষ্টি হবে সম্পদের অসমতা। তাই দেশগুলোর উচিত দুর্বল কর্মীদের জন্য একটি ‘বিস্তৃত সামাজিক নিরাপত্তা জাল’ তৈরি করা। একই সঙ্গে পুনঃপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি পালন করা। যদিও এআই কিছু চাকরি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তবে তার বিশ্লেষণ বলছে, কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তার মানুষের কাজের পরিপূরক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়া উদীয়মান এবং নিম্নআয়ের দেশগুলোর তুলনায় এটি উন্নত দেশের অর্থনীতির প্রায় ৬০ শতাংশ চাকরির বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশ্বব্যাপী অনেক কোম্পানি এআইয়ের ওপর বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছে, যা ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের কারণ হয়েছে অনেক কর্মীর। যার একটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় বাজফিডের কথা। প্রতিষ্ঠানটি তাদের কন্টেন্ট তৈরিতে সাহায্য করার জন্য এআই ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে এবং তাদের মূল সংবাদ বিভাগ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ওই বিভাগের ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে চাকরি হারাতে হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত