বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের লোন দেয়ার প্রক্রিয়া টেকসই নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ। তিনি বলেন, এ খাতের লোন দেয়ার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি তারল্য বাড়ানো না গেলে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ ও উন্নয়ন সম্ভব নয়। গতকাল শনিবার ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে ‘সমসাময়িক অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি এবং ২০২৪ সালে ডিসিসিআইর বর্ষব্যাপী কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ডিসিসিআই সভাপতি। আশরাফ আহমেদ বলেন, অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। আমদানিনির্ভর জ্বালানি দীর্ঘ মেয়াদে স্বস্তি না দিলেও বর্তমানে এর কোনো বিকল্প নেই। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নাজুক। ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হতে হলে এখনই বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, আগামী এক দশকে আমরা বিশ্বের ২০টি বড় অর্থনৈতির দেশে পৌঁছাতে যাচ্ছি। এখন আমাদের গ্রোথ ১০ এ নেমেছে। কিন্তু চীনসহ অনেক দেশের গ্রোথ পাঁচ শতাংশের নিচে। আমাদের গ্রোথের সব ফান্ডামেন্টাল ভালো আছে, কিছু ক্ষুণ্ণ হয়নি। প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত। আশরাফ আহমেদ বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ আছে। তবে সেটা বড় বিষয় নয়। আমাদের অর্থনৈতিক গ্রোথ চেঞ্জ করার মতো কোনো ফান্ডামেন্টালের পরিবর্তন হয়নি। সব ঠিক আছে। মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ সমস্যা আমাদের আগেও হয়েছে। সেটা আমরা ওভারকাম করেছি। আর বিবিএস (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো) যে মূল্যস্ফীতির তথ্য দিচ্ছে সেটা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় বিবেচনায়। পরিস্থিতি এতটা খারাপ নয়।
