রাজস্ব আদায় অটোমেশনে হলে কমবে হয়রানি
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের রাজস্ব প্রদান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনা সম্ভব হলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের হয়রানি কমবে। এছাড়া সম্ভাবনাময় নতুন করদাতাদের এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে করজাল আরো সম্প্রসারিত হবে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ। গত শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে ‘আয়কর আইন ২০২৩ : করপোরেট করের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য জানান।
আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অনুপাতে করদাতার হার অত্যন্ত কম। ১৭ কোটি মানুষের দেশে মাত্র ৪০ লাখ মানুষ কর প্রদান করে, যা মোটেও কাম্য নয় এবং কর প্রদানের এ নিম্নহার বিদ্যমান করদাতাদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করে থাকে।’ ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, আয়কর আইন ২০২৩ বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের সম্যক ধারণা প্রদান করা হবে, যেটি নতুন আইনটি বুঝতে সহায়ক হবে; বিশেষ করে উদ্যোক্তাদের করপোরেট কর প্রদানে আরো উৎসাহিত করবে। আয়কর আইন ২০২৩-এর ১৬৩ (২) (খ) ধারা অনুযায়ী কর্তন বা সংগৃহীত কর উৎসে করকে ন্যূনতম কর হিসেবে বিবেচনার বিধান রয়ে গেছে, যা প্রকৃতপক্ষে করপোরেট করের হারকে বৃদ্ধি করছে বলে জানান ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআইয়ের কাস্টমস, ভ্যাট অ্যান্ড ট্যাক্সেশন স্ট্যান্ডিং কমিটির উপদেষ্টা স্নেহাশীষ বড়ুয়া। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (ট্যাক্স এডুকেশন) বাপন চন্দ্র দাস। এ সময় ঢাকা চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা চেম্বারের সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭০ জন প্রতিনিধি উক্ত কর্মশালায় অংশ নেন। এনবিআরের জয়েন্ট কমিশনার (কর অঞ্চল-১৫) ওয়াকিল আহমেদ জানান, ২০২৩ সালে প্রায় ৪ লাখের বেশি করদাতা ই-টিন সার্ভিস ব্যবহারের মাধ্যমে কর প্রদান করেন, বিগত বছরে এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার; এতে প্রতীয়মান হয় অটোমেশন প্রক্রিয়া করবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এনবিআরের জয়েন্ট কমিশনার (কর অঞ্চল-৪) মুরাদ আহমেদ ব্যবসায়ীদের ই-টিডিএস ব্যবস্থা আরও বেশি হারে ব্যবহারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।