ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পুঁজিবাজার

ফ্লোর প্রাইস বাতিলের প্রথম কার্যদিবসেই বড় ধস

ফ্লোর প্রাইস বাতিলের প্রথম কার্যদিবসেই বড় ধস

দেড় বছর পর রোববার পুঁজিবাজার থেকে উঠে গেছে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা)। এতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। শুধুমাত্র সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে যথাক্রমে ৪৭৬ দশমিক ৯২ পয়েন্ট ও ৯৬ দশমিক ৫০ পয়েন্ট। গতকাল রোববার পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস শেষে এ তথ্য জানা যায়। ডিএসইতে রোববার কমেছে সবকটি সূচকের মান। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৯৬ দশমিক ৫০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৪০ দশমিক ২৫ পয়েন্টে। আর ডিএস-৩০ সূচক ৭ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট ও ডিএসইএস সূচক ১৪ দশমিক ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে যথাক্রমে ২ হাজার ১৩৭ দশমিক ১৮ পয়েন্ট ও ১ হাজার ৩৭৪ দশমিক ১৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে এদিন কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। এদিন লেনদেন হয়েছে ৫৮৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার। যেখানে গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৩৭ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন কমেছে ৪৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এছাড়া রোববার ডিএসইতে ৩৩৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টি কোম্পানির, কমেছে ২৯৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। লেনদেনের শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম। এছাড়া ওরিয়ন ইনফিউশন, দেশবন্ধু পলিমার, সি পার্ল, ব্র্যাক ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, লাফার্জহোলসিম, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস, কর্নফুলী ইন্স্যুরেন্স ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ছিল শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায়। অন্যদিকে দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতেও এদিন কমেছে সব সূচকের মান। রোববার সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৭৬ দশমিক ৯২ পয়েন্ট ও সিএসসিএক্স সূচক ২৮৩ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৮ হাজার ৩২৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে ও ১০ হাজার ৯৬৪ দশমিক ১২ পয়েন্টে। আর সিএসই-৫০ সূচক ৩১ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক ২৫ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৮২ দশমিক ০৬ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৭১ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে। আর ১৬৭ দশমিক ২৪ পয়েন্ট কমেছে সিএসই-৩০ সূচকের মান। সূচকটি অবস্থান করছে ১৩ হাজার ২৫৫ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে। তবে সিএসইতে রোববার বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার। আর এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন বেড়েছে ৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। সিএসইতে ২১৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪১টির, কমেছে ১৫৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি কোম্পানির শেয়ারদর। এর আগে ১৮ জানুয়ারি পুঁজিবাজারে কর্মচঞ্চলতা ফেরাতে বেশিরভাগ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) তুলে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে ৩৫ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস থাকবে, যা আজ থেকে কার্যকর হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ৩৫ প্রতিষ্ঠান বাদে বাকিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হয়েছে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে। আর ফ্লোর প্রাইসের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার কারণে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বাজারে গতি ফিরে আসবে বলেও আশা রেজাউল করিমের। এদিকে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হলেও তা ৩৫টি কোম্পানির জন্য বহাল থাকবে। এগুলো বাদে অন্যান্য কোম্পানির ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকারের ঊর্ধ্বসীমা ও নিম্নসীমা প্রযোজ্য হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত