টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, অপচয়ের কারণে দোয়েল ল্যাপটপ উৎপাদন প্রকল্প ভেস্তে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, এভাবে চলতে পারে না। ৩০ জুনের মধ্যে টেশিসকে লাভজনক হতে হবে। না হলে ব্যয় কমাতে হবে। গতকাল সোমবার গাজীপুরের টঙ্গিতে টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) ডিজিটাল প্রযুক্তি পণ্যের উৎপাদন প্ল্যান্টগুলো পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, টেশিসের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, অপচয়ের কারণে দোয়েল ল্যাপটপ উৎপাদন প্রকল্প ভেস্তে গেছে।
বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি হলেই সেখানে টিকতে পারে না টেশিস। সংস্থাটি সরকারকে কিছুই দিতে পারছে না। অথচ বসে বসে জনগণের টাকায় বেতন নিচ্ছে। এক্ষেত্রে টেশিসের লজ্জা পাওয়া উচিত বলেও মনে করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ৩০ জুনের মধ্যে টেশিসকে লাভজনক হতে হবে। না হলে ব্যয় কমাতে হবে। প্রয়োজনে সংস্থাটিকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার ইঙ্গিতও দেন পলক। তিনি বলেন, টেশিসের গত ৫ বছরের আয় ব্যয়ের হিসাব দেখাতে হবে। তাদের উৎপাদিত পণ্যগুলো যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। খুব শিগগিরই টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে হাইটেক পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গত বছর টেশিস ৭ কোটি টাকা ট্যাক্স- ভ্যাট দিয়েছে। অথচ আয় নেই।
বিপরীতে ওয়ালটন, ফেয়ার গ্রুপ বেসরকারি হাইটেক পার্ক হিসেবে ঘোষণা করায় তারা ট্যাক্স ভ্যাট থেকে মুক্তি পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালে ২৪ এপ্রিল টেশিস প্রতিষ্ঠা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারমূলক একটি খাত হলো তথ্যপ্রযুক্তি।
বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা আসছে। গত ১৪ বছরে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।