চলতি সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল মঙ্গলবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে প্রায় ২২ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে প্রায় ৭৭ পয়েন্ট। আজ ডিএসইতে সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। তবে সিএসইতে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে। এদিন পতন ঠেকিয়ে ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজার। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়েছে। এর পর দেশের শেয়ারবাজারে বেশ ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে লেনদেন বাড়ার পাশাপাশি মূল্যসূচকেও ফিরেছে ইতিবাচক ধারা। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়ে সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
প্রায় দেড় বছর পর গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে শেয়ারবাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৩৫ প্রতিষ্ঠান বাদে সবগুলো থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর মাত্রাতিরিক্ত বিক্রির চাপে রোববার লেনদেনের একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২১৪ পয়েন্ট পড়ে যায়। তবে শেষ দিকে বিক্রির চাপ কমায় প্রধান সূচক ৯৬ পয়েন্ট কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
পরের কার্যদিবস সোমবার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার পাশাপাশি বাড়ে সবকটি মূল্যসূচক। একই সঙ্গে প্রায় ছয় মাস পর ডিএসইতে হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়।
এ পরিস্থিতিতে সোমবার বিকালে আরো ২৩ প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) লেনদেনের শুরুতে নতুন করে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া ২৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের বিপুল বিক্রির চাপ আসে। এতে লেনদেনের শুরুতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।