ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মিল্ক ভিটাকে কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়তে হবে

বললেন তাজুল ইসলাম
মিল্ক ভিটাকে কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়তে হবে

প্রায় ১৮ কোটি মানুষের দেশে দুগ্ধজাত পণ্যের বিশাল চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মিল্ক ভিটাকে একটি কার্যকর ও মর্যাদাবান প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরই কৃষকের উৎপাদিত দুধের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত এবং ভোক্তা শ্রেণির মধ্যে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত দুগ্ধ সরবরাহের নিমিত্তে দুগ্ধশিল্প গড়ে তোলার জন্য নির্দেশনা দেন। তারই ফলশ্রুতিতে দেশের জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং দুগ্ধ সংকট নিরসনে একটি বিপ্লব ঘটে। গতকাল বুধবার তেজগাঁও বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম এবং সভাপতিত্ব করেন মিল্ক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, মিল্ক ভিটার পণ্যের গুণগতমান সম্পূর্ণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী হতে হবে কারণ জনগণের পুষ্টি নিশ্চিতকরণে কোনো ধরনের অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। এ সময় মিল্ক ভিটা পণ্যের চাহিদা ও মান বজায় রেখে সরবরাহ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আনয়নের মাধ্যমে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। মিল্ক ইউনিয়ন দেশের গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে স্বাধীনতার পর থেকে ভূমিকা রেখে চলেছে।

মধ্যস্বত্বভোগীর কারণে নিগৃহীত গ্রামের দরিদ্র ও প্রান্তিক দুগ্ধ কৃষকদের সমবায়ের মাধ্যমে সংগঠিত এ প্রতিষ্ঠান তাদের জন্য একটি ন্যায়ভিত্তিক বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। তাই মিল্ক ভিটার মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা সম্ভব। মতবিনিময় সভার শুরুতে মিল্ক ভিটার পরিচিতি ও কার্যক্রম নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানের সম্ভাবনা ও সমস্যাগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ সময় মিল্ক ভিটার চলমান প্রকল্পের বিভিন্ন অসঙ্গতি দূর করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া অধিকতর গবেষণা ছাড়া নতুন প্রকল্প না নিতে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত