জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, একটি চক্র এসএমএসের মাধ্যমে গোটা চালের বাজারকে অস্থির করে রেখেছে। এটা যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় কার্যকর ব্যবস্থা নেব। গতকাল শনিবার বরিশাল নগরীর ফড়িয়াপট্টি ও চকবাজার এলাকার চালের পাইকারি বাজার পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেছেন তিনি। এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, উত্তরবঙ্গে চালের বড় বড় কয়েকশ’ কল আছে। তারা একইভাবে জোটবদ্ধ হয়। সারা দেশে ধানের দাম বেড়েছে এমন প্রচার করে চালের দাম বাড়িয়ে দেয় এই চক্র। ১৭ কোটি ভোক্তাকে প্রতারিত করছে কতিপয় কয়েকটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। এর আগে আলু, ব্রয়লার মুরগি, ডিম নিয়ে যা করছে, আজ চাল, কাল পেঁয়াজ নিয়েও তা করা হচ্ছে। আর তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান রয়েছে আমাদের। মহাপরিচালক বলেন, ধানের দাম যদি বেড়েও থাকে, সেই চালটা তো ২ মাস পরে অর্থাৎ বৈশাখ মাসে বাজারে আসবে। কিন্তু ১৫ দিনের ব্যবধানে আগের ধানের চালের দাম বাড়িয়ে দেওয়া অযৌক্তিক। আর অযৌক্তিক বিষয়ের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, ঠিক ১৫ থেকে ২০ দিনের ব্যবধানে একই মোকামের একই ভাউচারে একই চাল ৪ থেকে সাড়ে ৪ টাকা কম-বেশি হচ্ছে। অর্থাৎ ডিসেম্বরের শেষে যে চালটা এসেছে এবং জানুয়ারির ১০ থেকে ১২ তারিখে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে সেখানে ৪ টাকার ডিফারেন্স (পার্থক্য) ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ার আড়ত থেকেই হচ্ছে।