দেশে ডলার, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট। এর কারণে টেক্সটাইল শিল্প উৎপাদন অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সরকার নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের লক্ষ্যে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরবরাহ ব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। এজন্য পেট্রোবাংলাকেই দায়ী করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মাদ আলী খোকন। গতকাল সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও বলরুমে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস মেশিনারি এক্সিবিশন বা ডিটিজি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। মোহাম্মাদ আলী খোকন বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী ইউক্রেন-যুদ্ধ, লোহিত সাগর যুদ্ধ, ডলার ও জ্বালানি সংকটে বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি টালমাটাল পরিস্থতির সৃষ্টি হয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাবে বাংলাদেশ অর্থাৎ আমরা যারা আগামী ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে চাই, তারাই সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আমাদের টেক্সটাইল ও ক্লথিং সেক্টর দুটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। আমি মনে করি এবারের ১৮তম ডিটিজিতে টেকনোলোজির নতুন কোন উদ্ভাবনী এ সংকট সমাধানে কোন না কোন পথ খুঁজে পেতে পারেন উদ্যোক্তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিটিএমএর সহসভাপতি মো. ফজলুল হক, মো. ফায়েজুর রহমান ভূঁইয়া, বিটিএমএ পরিচালক ও মোশারফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, বিটিএমএ পরিচালক ও উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, বিটিএমএর পরিচালক মো. সালেউদ জামান খান ও ইয়োর্কাস ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিসেসের প্রেসিডেন্ট জুডি ওয়াং। সংবাদ সম্মলেনে লিখিত বক্তব্যে বিটিএমএর সভাপতি বলেন, টেক্সটাইল ও ক্লথিং থেকে বিগত দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে জনশক্তি খাতের পর টেক্সটাইল খাতের অবদানই মুখ্য। বর্তমানে আমাদের স্পিনিং মিলগুলির বার্ষিক সুতা উৎপাদন ক্ষমতা ৪ হাজার মিলিয়ন কেজি। এছাড়াও দেশে ছোট, মাঝারি ও বড় ওভেন ফেব্রিকের মিল রয়েছে প্রায় ২০ হাজারের মত যাদের বার্ষিক ফেব্রিক উৎপাদন ক্ষমতা ৯ বিলিয়ন মিটার। অন্যদিকে দেশে ২৫ টির মত হোম টেক্সটাইল মিল রয়েছে যাদের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৮০০ মিলিয়ন মিটার এবং ডেনিম মিলের সংখ্যা ৪২ টি যাদের উৎপাদন ক্ষমতা ৯০০ মিলিয়ন মিটার।