স্পট মার্কেট থেকে গ্যাস কেনার ব্যাখ্যা দিলেন প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ (সংশোধনী ২০২১) এর আওতায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্সেস অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষর করা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে স্পট মার্কেট থেকে লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) কিনছে সরকার। কি কারণে স্পট মার্কেট থেকে গ্যাস কেনা হচ্ছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, কম দামে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে তাই স্পট মার্কেট থেকে কেনা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ ব্যাখ্যা দেন। স্পট মার্কেট থেকে গ্যাস কেনার কারণ জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদি গ্যাস কিনি আমরা প্রায় ৬০ শতাংশ। আর ৪০ শতাংশ আমরা কিনি স্পট থেকে। দীর্ঘমেয়াদি গ্যাসের দাম এখন ১২ ডলারের মতো।
দীর্ঘমেয়াদি দাম সবসময় একই থাকে। স্পটের সুবিধা হলো দাম কখনো বাড়ে, কখনো কমে। এখন আমরা কমে কিনলাম, ৯ দশমিক সামথিং। তিনি বলেন, আমরা স্পট মার্কেট থেকে গ্যাস কিনছি। আমরা মনে করছি, গরমের সিজন আসতেছে প্রচুর গ্যাস দরকার। গ্যাস বেজ পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আমাদের চালু রাখতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি, গ্যাস নিয়ে আসার জন্য, গ্যাস যেটা লাগবে। আর নিজস্ব গ্যাস তো আহরণ করতেছি। এটা একটা বিষয়। আর একটা বিষয় শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের জন্য আমাদের একটা কম্প্রেসার কেনার কথা ছিল। প্রায় এক বছর ধরে আমরা টেন্ডার করেছিলাম। সর্বনিম্ন টেন্ডার প্রাপ্তি কমপ্রেসারটা থাকলে শ্রীকাইলের গ্যাস ফিল্ড গ্যাসের যে প্রেসার কমে গিয়েছিল, সেই প্রেসার আমরা দিতে পারব। তিনি বলেন, আজকে আমাদের ৪টা বিষয় ছিল। এগুলো হলে পরে আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের ক্ষেত্রে কিছুটা আমরা সাশ্রয়ই হব। এগুলোর ক্ষেত্রে যে অর্থ লাগবে সেদিন বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আমাদের নিজেদের সোর্স, গ্যাস ডেভেলপমেন্ট ফান্ড এবং সরকারি মালিকানাধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম প্রোডাকশন অ্যান্ড এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি (বাপেক্স) নিজস্ব অর্থায়ন। এদিকে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সিঙ্গাপুরের দুই প্রতিষ্ঠান থেকে তিন কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ২৭৪ কোটি ১১ লাখ ৭৬ হাজার ৫২০ টাকা। সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ (সংশোধনী ২০২১) এর আওতায় বাপেক্স কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের জন্য ওয়েলহেড কম্প্রেসার সংগ্রহ ও স্থাপন (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পে ওয়েলহেড কম্প্রেসার স্থাপনের লক্ষ্যে টার্ন-কি ভিত্তিতে ইপিসি ঠিকাদার নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৮ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার ৬০৬ টাকা।