বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকহোলস, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসোর চাভোসি এবং নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিসকক্ষে তিন দেশের প্রতিনিধি পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন। কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য নতুন পণ্য ও নতুন রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণে নির্দেশনা দিয়েছেন। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। বাংলাদেশ ওষুধ, বাইসাইকেল রপ্তানি করতে আগ্রহী। এ সময় কানাডার হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বের প্রশংসা করে জানান, কানাডা ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি কানাডা থেকে ক্যানোলা তেল রপ্তানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া অপচনশীল দ্রব্য যেমন ফলের রস (জুস), শুকনো ফল (ড্রাই ফ্রুট) নিয়ে কানাডার বিশেষ চাহিদার কথা জানান। এদিকে, সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ইরানের রাষ্ট্রদূতকে জানান, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক করতে গেলে অর্থ লেনদেনে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলাপ করে বিষয়টি সহজ করার আহ্বান জানান। এরপর প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি। তিনি বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহের কথা জানালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে একটি অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির আহ্বান জানান।