সূচক ও লেনদেন কিছুটা কমেছে পুঁজিবাজারে
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের পুঁজিবাজার দীর্ঘদিন ধরে এক প্রকার স্থবির ছিল। ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারদরের সর্বনিম্ন সীমা) প্রত্যাহারের পর পুঁজিবাজারে গতি ফিরেছে। গত ১০ কার্যদিবসে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে। এ সময় শেয়ার লেনদেন বেড়েছে আড়াই গুণেরও বেশি। তবে টানা দশ দিন উত্থানের পরে সূচকের সামান্য পতনে লেনদেনও কমেছে পুঁজিবাজারে। বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গতকাল সোমবার ডিএসইতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ২২ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৪২৪ পয়েন্টে। এছাড়াও, শরিয়াহ সূচক ‘ডিএসইএস’ ৪ দশমিক ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৯৩ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল সোমবার ডিএসইতে ১ হাজার৬৯৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে হয়েছে ৩৯৫টি কোম্পানির। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ২৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির।
লেনদেন ছাড়াল ১৮০০ কোটি টাকা
দীর্ঘদিন পর দেশের পুঁজিবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে ব্যাংক কোম্পানিগুলো। এতে সার্বিক শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ১৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে। সেই সঙ্গে লেনদেন বেড়ে ১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। গত কয়েক কার্যদিবসের মতো গত রোববার সার্বিক শেয়ারবাজার ছিল বেশ ইতিবাচক। ডিএসইতে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমলেও সব কটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই মূল্যসূচক বাড়ে। সেই সঙ্গে বাড়ে লেনদেনের গতি। এতে এক সপ্তাহেই ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ১৫৯ পয়েন্ট। আর ডিএসইতে বাজার মূলধন বাড়ে ১৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা।