মালিকানা পরিবর্তন হচ্ছে কোকাকোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডের। কোম্পানিটি কিনে নিচ্ছে তুরস্কের কোকাকোলা আইসেক (সিসিআই)। এজন্য তুর্কি কোম্পানিটিকে গুনতে হবে ১৩ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। এরই মধ্যে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে তুর্কি কোম্পানিটি। সম্প্রতি নিজেদের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সিসিআই জানিয়েছে, ১৩ কোটি ডলারের বিনিময়ে কোকাকোলা বাংলাদেশের শতভাগ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে সিসিআই। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার কিনতে অর্থায়ন করবে সিসিআই ইন্টারন্যাশনাল হল্যান্ড বিভি। সিসিআই তার সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারি সিসিআইএইচবিভি ও কোকাকোলা কোম্পানির একটি সাবসিডিয়ারির সঙ্গে এই চুক্তি করেছে, যার প্রধান শেয়ারহোল্ডার হবে সিসিআইএইচবিভি। এ বিষয়ে সিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা করিম ইয়াহি বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা সিসিবিবি অধিগ্রহণের জন্য শেয়ার কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে আনন্দিত। এই চুক্তিকে আমরা ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় বাজারে প্রবেশের দারুণ সুযোগ হিসেবে দেখছি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, কোকাকোলা বাংলাদেশ দেশে কোক ব্র্যান্ডের পানীয় উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণ করে। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চলের প্রায় ১০ কোটি গ্রাহককে সেবা দেয়। প্রতিষ্ঠানটির তিন শতাধিক কর্মচারী রয়েছে। এছাড়া একটি বোতলজাত প্ল্যান্ট, তিনটি গুদামসহ প্রায় তিন লাখ বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে কোম্পানিটির। তাদের ডিস্ট্রিবিউটরের সংখ্যা ৫০০। বিগত ৫ বছরে সিসিবিবি বাংলাদেশের বাজারে ক্রমাগত প্রতিযোগিতামূলকভাবে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে। এতে ২০২৩ সালের হিসাবে দেশের স্পার্কলিং ক্যাটাগরির বাজারের ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ আধিপত্য ধরে রেখেছে কোকাকোলা বাংলাদেশ। কোকাকোলা ব্র্যান্ডের পণ্য উৎপাদন, বিতরণ ও বাজারজাত করে থাকে সিসিআই। এই কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালিত হয় ১১টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে। এর মধ্যে রয়েছে তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান, আজারবাইজান, ইরাক, জর্ডান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, সিরিয়া, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান।