ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ

অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পাকিস্তান

অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পাকিস্তান

পাকিস্তানে নতুন সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা, সমঝোতার চেষ্টা চলছে। এই পরিস্থিতিতে আপাতত অর্থনীতি নিয়ে তেমন উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু নিকট ভবিষ্যতে দেশটিতে পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টির ঝুঁকি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ রকম অবস্থায় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে পাকিস্তান খুব দূরে থাকতে পারবে না। বহুজাতিক সংস্থাটির কাছ থেকে আগের চেয়েও বড় অঙ্কের ঋণ নেয়াই হবে পাকিস্তানের নতুন সরকারের অগ্রাধিকার। আইএমএফ পাকিস্তানের জন্য ৩০০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। এর শেষ কিস্তি মার্চে ছাড় হওয়ার কথা। রয়টার্স সূত্রে এই সংবাদ দিয়েছে ইকোনমিক টাইমস। গত আগস্ট মাস থেকে পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আছে। আগের সরকারের ধারাবাহিকতায় তারা আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। দেশটির নতুন আইন অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন তত্ত্বাবধানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয়েও বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। এখন কথা হচ্ছে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক কতটা খারাপ। বর্তমানে দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমে মাত্র ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা দিয়ে দুই মাসের চাহিদা মেটানোর মতো পণ্যসামগ্রী আমদানি করা সম্ভব। প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের তুলনায় এই রিজার্ভ অনেক কম হলেও এ ক্ষেত্রে গত এক বছরে তাদের উন্নতি হয়েছে। যেমন এক বছর আগেও পাকিস্তানের রিজার্ভ ছিল মাত্র ৩১০ কোটি ডলার। আগামী দুই মাসে পাকিস্তানকে আরো প্রায় ১০০ কোটি ডলার বন্ডের অর্থ পরিশোধ করতে হবে। স্বাভাবিকভাবে তাদের রিজার্ভ কমবে। এরই মধ্যে আইএমএফের ঋণের ৭০ কোটি ডলার তাদের রিজার্ভে যুক্ত হওয়ার কথা। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুর্তজা সাঈদ রয়টার্সকে বলেন, দেশের যে বাস্তবতা, তাতে আইএমএফের কাছ থেকে আরো একটি ঋণ জরুরি। কারণ, দেশের যে পরিমাণ বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হবে, সেই তুলনায় রিজার্ভ অত্যন্ত কম। ফলে আইএমএফের নতুন ঋণের বিকল্প নেই। পাকিস্তানের ঋণ-জিডিপির অনুপাত এরই মধ্যে ৭০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থাগুলোর প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর দেশটির রাজস্ব আয়ের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ঋণ পরিশোধে ব্যয় করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত