ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ব্যাংকিং খাতে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে

ব্যাংকিং খাতে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে

অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে জুয়া, বেটিং, ক্রিপ্টো ট্রেডিং ও ডিজিটাল হুন্ডিতে প্রতারণার কারণে সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) বেড়েছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ১৪ হাজার ১০৬টি। যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৬৫ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছিল ৮ হাজার ৫৭১টি। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকে বিএফআইইউ এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মাসুদ বিশ্বাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউ নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম, বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগের পরিচালক সারোয়ার হোসেন ও অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসাইন। বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, মানি লন্ড্রারিংয়ের ৮০ শতাংশ হয় ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংক যদি এটি বন্ধে সহযোগিতা না করে তাহলে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। কারণ একবার মানি লন্ড্রারিং হয়ে গেলে তা ফেরত আনা যায় না। তিনি বলেন, সব সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) অপরাধ নয়। লেনদেন সন্দেহজনক হলে আমরা তদন্ত করি। তদন্তে যদি কোনো অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই। বিএফআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরো অর্থবছরে মোট ১২ হাজার ৮০৯টি সন্দেহজনক লেনদেনের রিপোর্ট জমা দিয়েছিল ব্যাংকগুলো। তার আগের অর্থবছরে ৭ হাজার ৯৯৯টি রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো রিপোর্ট জমা দেয় ১২১টি। আর এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো ৯০০ রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিশ্বাস বলেন, এ সব তথ্যের ভিত্তিতে অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে ৫৯টি। এর মধ্যে দুদক মামলা করেছে ৪৭টি, সিআইডি ১০টি এবং এনবিআরের বিশেষ সেল করেছে ২টি মামলা। এসব মামলা এখনো চলমান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত