ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডব্লিউটিও’র মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শুরু

যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য
ডব্লিউটিও’র মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শুরু

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হলো গতকাল সোমবার। ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ সম্মেলন। সম্মেলনে আট সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ ঘটবে- এমন প্রেক্ষাপটে এবারের সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সাধারণত দুই বছর পর পর ডব্লিউটিওর সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের সম্মেলনে কৃষি ও মৎস্য খাতের ভর্তুকি, মেধাস্বত্ব সুবিধা, ই-কমার্স এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালনের চেষ্টা করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, এবারের সম্মেলনে আমরা বাংলাদেশের জন্য কোনো নির্দিষ্ট বিষয় আলাদাভাবে ফোকাস করছি না। তবে এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ও মেধাস্বত্বসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক সুবিধা যেন আরো কয়েক বছর অব্যাহত থাকে, এটা আমরা চাচ্ছি। তিনি বলেন, এলডিসি হিসেবে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ কারিগরি সহযোগিতা ও ডিসপুট সেটেলমেন্টের যে সুবিধা পাওয়া যায়, উত্তরণের পরও কয়েক বছর এই সুবিধা বহাল রাখতে চাই। বাংলাদেশ এ বিষয়ে জোরালো ভূমিকা রাখবে। এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে মৎস্য খাতে ভর্তুকি প্রদানের সুবিধা বহাল রাখার বিষয়টিও বাংলাদেশ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত