সিরাজগঞ্জে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এনডিপি) সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় খামার দিবস উদযাপন করা হয়েছে। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন’র (পিকেএসএফ) অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় পরিচালিত সমন্বিত কৃষি ইউনিটের প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোগে সদর উপজেলার পদমপাল গ্রামে জাতীয় পর্যায়ের এ দিবস উদযাপন করা হয়। গত রোববার এ দিবস কেন্দ্র করে এনডিপি’র ঋণ সহায়তা কর্মসূচির শিয়ালকোল শাখার অধীনস্ত প্রায় শতাধিক ছোট-বড় খামারি এতে অংশগ্রহণ করেন। মূলত নতুন উদ্ভাবিত বাউ চিকেন পালন করে সফলতাকামী খামারিবরা এতে উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানে বাউ চিকেন পালনের সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন এনডিপির প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: সাজ্জাদ হোসেন ও মইনুল হাসান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, জলবায়ু সহিঞ্চু বাউ মুরগি অন্যান্য মুরগির তুলনায় কম দিনেই বাজারজাতের উপযুক্ত হয়।
সাধারণত এটি ৪৫ থেকে ৫০ দিনে ১ কেজি ওজন পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং বাজারে বিক্রির উপযুক্ত হয়। সেইসাথে অন্যান্য মুরগির তুলনায় বাউ চিকেনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যান্ত বেশি। জড়িপে দেখা যায়, এ মুরগির মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ ২ শতাংশ। এ মুরগির আরেকটি গুণাবলির মধ্যে অন্যতম ফিড কনভার্শন রেশিও। অর্থাৎ, একটি মুরগি ৪৫ থেকে ৫০ দিনে ২ কেজি খাবার খেয়ে থাকে এবং এতে মুরগির ওজন ১ কেজি হয়। এ সময় এনডিপি’র সহকারী ব্যবস্থাপক (আরএন্ডডি) জানাফার ইসলাম, সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সবুজ হোসেনসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, দেশি মুরগির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এবং বৃহৎ জনগোষ্ঠীর আমিষের ঘাটতির কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আশরাফ আলী এবং অধ্যাপক ড. মো: বজলুর রহমান মোল্যা দীর্ঘদিন গবেষনা করেন। এ গবেষণায় ‘বাউ ব্রো মুরগি বা বাউ মুরগি’ নাম দিয়ে দুটি স্টেইন বা জাতের উদ্ভাবন করেন। উদ্ভাবিত দুটি জাতের নাম রাখেন ‘বাউ ব্রো হোয়াইট ও বাউ ব্রো কালার’। বাউ ব্রো কালার দেশি মুরগির মত হওয়ায় বাউ মুরগি নামে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।