অসৎ ব্যবসায়ীদের দায় নেবে না এফবিসিসিআই
প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
অসৎ ব্যবসায়ীর পক্ষে এফবিসিসিআই কথা বলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, সামনে পবিত্র রমজান মাস। এ সময় লাভটা যেন ন্যায্য হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গতকাল বুধবার ‘পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর উৎপাদন, আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও সামগ্রিক দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি। সভাটি এফবিসিসিআইয়ের বোর্ড রুমে হয়। এ সময় মাহবুবুল আলম বলেন, পবিত্র রমজান মাসটি ইবাদতের মাস।
আপনারা (ব্যবসায়ী) সারা বছর ব্যবসা করেন, রমজান মাসেও ব্যবসা করবেন। বিশ্বের অন্যসব দেশে উৎসবে ছাড় দেওয়া হয়। আমাদের দেশেও তাদের মতো হতে হবে। আপনারা (ব্যবসায়ীরা) রমজান মাসে ন্যায্য লাভ করেন, বেশি দাম রাখবেন না। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সতর্ক আছেন। তাই সবাইকে সাবধান হতে হবে। তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে পণ্যের সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সাপ্লাই চেইনে ঘাটতি হলে দেশে সংকট তৈরি হবে। এটা যেন না হয়, সেদিকে সবার নজর দিতে হবে। ব্যবসায়ীরা লাভণ্ডলোকসান করেন তবে রমজানের লাভটা যেন ন্যায্য হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, অসৎ ব্যবসায়ীর পক্ষে এফবিসিসিআই কথা বলবে না। আমরা চাই না আসন্ন রমজান মাসে বাজার মনিটরিং পুলিশ দিয়ে করানো হোক। বাজার কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক মনিটরিং করলেই হয়। নিজেরা উদ্যোগ না নিলে সরকারিভাবে হয়রানির শিকার হতে হবে। পাশাপাশি পথে পথে চাঁদাবাজির শিকার হলে আমাদের জানাবেন। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আমরা সরাসরি আলাপ করব। শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, অসৎ ব্যবসায়ীদের তৈরি করা কৃত্রিম সংকটে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। এসব ব্যবসায়ীদের দায় নেবে না এফবিসিসিআই। তাদের মার্কেট সমিতি চিহ্নিত করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যবসায়ীরা ব্যবসায় লাভ করবেন, কিন্তু মানুষকে ঠকিয়ে ব্যবসা যারা করবে, তাদের দিকে নজরদারি রাখতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দর কীভাবে সহনীয় রাখা যায়, সে চেষ্টা করতে হবে। সাপ্লাই চেইনে ঘাটতি করে সংকট তৈরি না হয়, সেদিকে ব্যবসায়ীদের সচেতন থাকতে বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে শ্যাম বাজার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মাজেদ বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে মুড়ি কাটা পেঁয়াজ আসবে। তখন পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় নেমে আসবে।
ব্যবসায়ী ইমরান মাস্টার বলেন, আড়তদাররা মজুদ করে না। যখন ভোক্তারা চাহিদার চেয়ে বেশি পণ্য কেনে, তখনই চাহিদা বাড়ে, দামও বাড়তে শুরু করে। বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সভাপতি বলেন, উৎপাদক পর্যায়ে বয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আড়তদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বৃদ্ধি করে। দাম সহনীয় রাখতে খুচরা ও আড়তদারদের সঙ্গে ভোক্তার অধিকারের আলোচনা প্রয়োজন।