সোয়াপ চালুর পর বাড়ল রিজার্ভ
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
টাকা-ডলার অদলবদল (সোয়াপ) চালুর ১০ দিনে ১২টি তফসিলি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকে ৫৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার জমা দিয়ে সমপরিমাণ টাকা নিয়েছে। এতে কিছুটা বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রজারি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (এফআরটিএমডি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এফআরটিএমডি জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারেন্সি সোয়াপ হলো সর্বনিম্ন ৭ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা জমা রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সমপরিমাণ টাকা নেয়ার পদ্ধতি। এ পদ্ধতি চালুর ফলে ১০ দিনের ব্যবধানে দেশের রিজার্ভ ৫৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেড়েছে। কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতিতে মেয়াদ শেষে টাকা ফেরত দিয়ে জমা দেয়া অর্থের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিতে পারবে বাণিজ্যিক ব্যাংক। সুবিধাটি চালু হওয়ার পর তা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়াতেও ভূমিকা রাখছে। এর সঙ্গে ফেব্রুয়ারির প্রথম তিন সপ্তাহে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিপিএম৬ হিসেবে গ্রস রিজার্ভ হয়েছে ২০ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসেবে তা ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।জানুয়ারি শেষে বিপিএম৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসেবে তা ছিল ২৫ বিলিয়ন ডলার। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, বর্তমানে ব্যাংকগুলোর কাছে উদ্বৃত্ত ডলার আছে। ডলার থাকলেও ডলারের মালিকদের সমপরিমাণ টাকা দিতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। এ অবস্থায় বাজারে ডলার বিক্রি করলে জরুরি সময়ে ডলার দরকার হতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর। ব্যাংকগুলো জরুরি সময়ে বা প্রয়োজন অনুযায়ী যাতে ডলার পায় সেজন্য বিক্রি না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে টাকা-ডলার অদলবদল সুবিধা দেয়া হয়েছে বলে জানান মেজবাহ। আর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সোয়াপ সুবিধা ঘোষণার পর থেকেই এ সুবিধা চালু হয়েছে। এ ব্যবস্থার আওতায় ৫০ লাখ ডলার বা এর সমপরিমাণ টাকা অদলবদল করা যাবে। আগ্রহী ব্যাংকগুলো এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে পরবর্তীতে যেদিন ডলার জমা দিবে ওইদিনই সমপরিমাণ টাকা পেয়ে যাবে। আবার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে টাকা জমা দিয়ে ডলার ফেরত নিতে পারবে ব্যাংকগুলো।