চর ও হাওরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে আর্থিক সেবা দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের বিনা জামানতে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খুলে বিনা খরচে সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। গতকাল শনিবার গাইবান্ধায় আনুষ্ঠানিকভাবে ১৬ জন ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তার হাতে ঋণের চেক তুলে দেওয়া হয়। ঋণ বিতরণের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (গ্রেড-১) আবুল বশর, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, মাইক্রো ফাইন্যান্স ইউনিটের প্রধান মো. রমজান আলী ভূঁইয়া, কেয়ার বাংলাদেশের সৌহার্দ্য প্রকল্পের চেয়ারম্যান মার্ক নসবাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ঋণগ্রহীতারা হলেন- মনিকা রাণী, মিনা বেগম, ফানসী বেগম, ফাতেমা বেগম, লাভলী, সুমী, মোসলেমা বেগম, চম্পা বেগম, শাকিলা আক্তার, মাসুদা বেগম, আসমা বেগম, রোশনা বেগম, জহুরা বেগম, জান্নাতুন বেগম, মুক্তা বেগম ও রোসনা খাতুন। প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবুল বশর বলেন, জাতীয় নীতি-কৌশল অনুসারে ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের সব মানুষকে আর্থিক সেবার আওতায় আনতে হবে। সেই লক্ষে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য কোনো জটিলতা ছাড়াই ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে এবং প্রায় এক কোটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। প্রান্তিক এলাকায় ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ, বিনা জামানতে ঋণ প্রদানে এনআরবিসি ব্যাংকের কার্যক্রম প্রশংসনীয়। এনআরবিসি ব্যাংক প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের উন্নয়ন ও গ্রামমুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। গ্রামের উন্নয়নে, নারীদের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল রয়েছে। এসব তহবিল থেকে ঋণ বিতরণের জন্য সব ব্যাংকের সুযোগ রয়েছে। এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে। মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট খুলে সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হচ্ছে।