বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন চান ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, হেলথ কেয়ার ও নার্সিং, পর্যটন, ঔষধ, কেমিক্যাল, প্লাস্টিক, প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং, সিরামিকসহ বেশকিছু খাতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা দেখছেন দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। তাদের মতে, স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি এসব খাতের রপ্তানি সম্ভাবনাও প্রচুর। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, প্রযুক্তি স্থানান্তর, গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো উন্নয়নের ওপর জোর দেন তারা। গত শুক্রবার এফবিসিসিআইয়ের গুলশান কার্যালয়ে গ্রেটার ম্যানচেস্টার চেম্বার অব কমার্স (জিএমসিসি) এবং এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা উঠে আসে। যেখানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয় গুরুত্ব পায়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। আমরা এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছি। সেই সঙ্গে আমাদের ব্যবসা, বাণিজ্য, শিল্প উৎকর্ষতার শিখরে পৌঁছেছে। বাংলাদেশে এখন আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিরামিকস, প্লাস্টিক পণ্য, ফার্নিচার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য প্রভৃতি। আম, সবজি, ফল, মাছসহ কৃষিপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণেও বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রসংশনীয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এসব শিল্পে ম্যানচেস্টারসহ যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের জন্য বিনিয়োগ সম্ভাবনা প্রচুর। এসব খাতে তারা শিল্প স্থাপন করলে স্থানীয় বৃহৎ বাজারের পাশাপাশি বিদেশেও পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। বাংলাদেশের প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং শিল্প, কেমিক্যাল, আবাসন ও নির্মাণ শিল্পের পণ্যসামগ্রী, বাথরুম ফিটিংস, মেডিকেল যন্ত্রপাতি, পাট ও পাটজাত পণ্য, পর্যটন ও আবাসিক হোটেল খাতে বিনিয়োগ সম্ভাবনার বিষয়ে গ্রেটার ম্যানচেস্টার চেম্বার অব কমার্সের (জিএমসিসি) প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন আমিন হেলালী। এ সময় জ্ঞান, প্রযুক্তি, গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে ম্যানচেস্টার চেম্বারের সহযোগিতা চান তিনি।

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ী কমিউনিটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহের কথা জানান জিএমসিসি সভাপতি কাশিফ আশরাফ। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে যারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা সম্পর্কে জানে না। বিটুবি পর্যায়ে মিটিং আয়োজনের মাধ্যেমে দুদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের পরামর্শ দেন তিনি। এসময় বাণিজ্য, শিল্প ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বাংলাদেশকে দক্ষতা ও প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন জিএমসিসি সভাপতি। এছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি। মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী, মোহাম্মদ ইসহাকুল হোসেন সুইট, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, সাধারণ পরিষদের সদস্য, ব্যবসায়ী নেতা, জিএমসিসির প্রতিনিধিদলের সদস্য প্রমুখ।