রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং ব্যাংকগুলোর মধ্যে কারেন্সি সোয়াপ বা মুদ্রার অদলবদলের সুবাদে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে, গত সোমবার (৪ মার্চ) রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। তবে আসছে সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) এক বিলিয়ন ডলারের বেশি পরিশোধের পর রিজার্ভ ফের কমবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এরপর সংকটের কারণে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে কমতে কমতে গত নভেম্বর শেষে ১৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এরপর আবারও বেড়ে ডিসেম্বরে ২১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন হয়। তবে জানুয়ারি শেষে আবার কমে ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। এখন সোয়াপের ফলে রিজার্ভ ফের বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এটিও গ্রস রিজার্ভ বাড়ার কারণ হতে পারে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত ব্যাংকের সঙ্গে কারেন্সি সোয়াপ হচ্ছে। এটাও একটা কারণ হতে পারে। রপ্তানি বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার জমা দিয়ে টাকা নিচ্ছে বিভিন্ন ব্যাংক। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বেড়েছে।