চলতি অর্থবছরের ৬ মাস
দেশে আসেনি রপ্তানি আয়ের সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের রপ্তানি আয়ে প্রতি অর্থবছর বড় ধরনের পার্থক্য দেখা দিচ্ছে। কয়েক বছর ধরে এ পার্থক্য বেড়ে চলেছে। গত অর্থবছর রপ্তানি আয়ে পার্থক্য ছিল প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি অর্থবছর প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) এ পার্থক্য দাঁড়িয়েছে সাড়ে আট বিলিয়ন ডলারের বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
ইপিবির তথ্য মতে, চলতি অর্থবছর প্রথম ছয় মাসে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এ সময় রপ্তানি আয় ছিল ১৮ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ছয় মাসে রপ্তানি আয়ে পার্থক্য দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। ডলারের বিনিময় হার ১১০ টাকা ধরলে রপ্তানি আয়ে পার্থক্যের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৪ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিনটি পদ্মা সেতুর নির্মাণব্যয়ের সমান অর্থ ছয় মাসে দেশে আসেনি।
দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছর জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রপ্তানি আয়ে সবচেয়ে বেশি পার্থক্য ছিল তৈরি পোশাক খাতে। ইপিবি বলছে, চলতি অর্থবছর প্রথম ছয় মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয়ের পরিমাণ ছিল ২৩ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানি আয় ১৩ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার এবং ওভেন ৯ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছর প্রথম ছয় মাসে তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানি আয় ৯ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার এবং ওভেন সাত দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার। ইপিবির হিসাবে এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছর বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারের। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত অর্থবছর পণ্য রপ্তানি বাবদ পাওয়া অর্থের পরিমাণ ছিল ৪৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, ইপিবির হিসাবের চেয়ে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার কম রপ্তানি আয় দেশে আসে ওই অর্থবছর। গত অর্থবছরও তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি দেশে না আসার পরিমাণ ছিল সবচেয়ে বেশি। ইপিবির হিসাবে গত অর্থবছর ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে গত অর্থবছরে ৩৬ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার দেশে এসেছে। তার মানে গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানির ১৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ গত জুন পর্যন্ত দেশে আসেনি।