কিছু ব্যাংক গ্রাহকের কাছ থেকে নির্দেশনার চেয়ে বেশি সুপারভিশন চার্জ আদায় করছে। আদায় করা এ অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, সিএমএসএমই ও ভোক্তা খাতের ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোকে আগ্রহী করতে সিএমএসএমই এবং ভোক্তা ঋণের আওতাধীন ব্যক্তিগত ও গাড়ি ক্রয় ঋণে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ সুপারভিশন চার্জ দেওয়ার নির্দেশনা আছে। বছরে একবার এ চার্জ আদায় করা যাবে। একইসঙ্গে বার্ষিক ভিত্তিতে আরোপিত এ সুপারভিশন চার্জের ওপর চক্রবৃদ্ধি হারে কোনো সুদ নেওয়া যাবে না। কিছু ব্যাংক এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে সুপারভিশন চার্জ হিসাবায়ন করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে এক্ষেত্রে গ্রাহক থেকে অধিক পরিমাণ সুপারভিশন চার্জ আদায় করছে। যেসব ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে এ ধরনের অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ আদায় করা হয়েছে তা ফেরত দেওয়া বা সমন্বয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঋণের সুপারভিশন চার্জ যেভাবে আদায় করতে হবে-
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুপারভিশন চার্জ পরিশোধের পদ্ধতি সহজ করার লক্ষ্যে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঋণের পরিশোধ সূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি মাস বা তিন মাস অন্তর বা ষান্মাসিক ভিত্তিতে এ চার্জ আদায়যোগ্য হবে। চলমান ঋণের ক্ষেত্রে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সুদ আদায়ের সময় প্রাপ্য সুপারভিশন চার্জ আদায় করা যাবে। তলবি ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে পরিশোধের সময় এককালীন আদায় করা যাবে। অথবা ব্যাংকার-গ্রাহক সম্মতিক্রমে মেয়াদের মধ্যে একাধিক কিস্তিতে আদায়যোগ্য হবে।
মাসিক বা ত্রৈমাসিক অথবা ষান্মাসিক ভিত্তিতে সুপারভিশন চার্জ আদায় করা হলে বছরান্তে প্রাপ্ত গড় স্থিতির হিসাবের ভিত্তিতে সুপারভিশন চার্জ সমন্বয় করতে হবে। শরিয়াহভিত্তিক পরিচালিত ব্যাংকগুলো তাদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
মেয়াদি ঋণের সুপারভিশন চার্জ আরোপের ক্ষেত্রে মূল ঋণের গড় স্থিতিকে ভিত্তি হিসেবে গণ্য করে সুপারভিশন চার্জ হিসাবায়ন করতে হবে। চলমান ঋণের ক্ষেত্রে মূল ঋণের দৈনিক গড় স্থিতিকে ভিত্তি হিসেবে ধরে সুপারভিশন চার্জ হিসাব করতে হবে। সুপারভিশন চার্জের ওপর কোনো ধরনের সুদ বা জরিমানা আরোপ করা যাবে না।
