ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কমেছে ১০ পণ্যের দাম স্বস্তিতে ভোক্তারা

কমেছে ১০ পণ্যের দাম স্বস্তিতে ভোক্তারা

এক মাসের ব্যবধানে ভোজ্যতেল, আটা থেকে ময়দা, পেঁয়াজ ও রসুনসহ ১০ পণ্যের দাম কমেছে। এতে করে ভোক্তারা কিছুটা স্বস্তিও পাচ্ছেন। তবে রমজানে অধিক ব্যবহৃত ছোলা, বেসন, খেজুর, সব ধরনের মাংস ও ফল এখনো বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছু পণ্যের দাম কমলেও একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দুই মাস আগে থেকে এসব পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি করে আসছিল। এখন দাম কমিয়ে সরকারসংশ্লিষ্টরা ক্রেডিট নিচ্ছে। গত মঙ্গলবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। জানা যায়, এদিন প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৩ থেকে ১৬৫ টাকায়, যা আগে ১৭৩ থেকে ১৭৫ টাকা ছিল। প্যাকেট আটা প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগে ৬৫ টাকা ছিল। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, যা আগে ৭০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, যা আগে ১৮০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়, যা আগে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়, যা এক মাস আগে ২৫০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি হলুদ ২৫০ থেকে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা ছিল। এদিকে ভারত থেকে আমদানির খবরে অবৈধভাবে মজুত পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৭০ টাকায়, যা এক মাস আগে ১২০ টাকা ছিল। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, রোজায় কিছু পণ্যের দাম কমাতে শুরু করেছে। তবে দেখা গেছে, যেসব পণ্যের দাম কমছে থেকে তা রোজার আগেই দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন বেশি দামে বিক্রি করে বাড়তি মুনাফা করে এখন দাম কমানো হচ্ছে। এছাড়া বাজারে এখনো অনেক পণ্য অযৌক্তিক দামে বিক্রি হচ্ছে। তদারকির মাধ্যমে সেগুলোর দামও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এতে ক্রেতার স্বস্তি ফিরবে। এদিকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী খুচরা পর্যায়ে গরুর মাংস কেজিতে সর্বোচ্চ ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা এবং খাসির মাংস ১০০৩ টাকা ৫৬ পয়সায় বিক্রি করতে হবে। কিন্তু খুচরা বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ ও খাসির মাংস ১১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে রাজধানীর দু থেকে একটি দোকানে ৫৯৫ টাকা কেজিদরে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। তবে গরুর সব স্থানের হাড় ও মাংস মিলিয়ে বিক্রেতারা বিক্রি করছেন। তাই ক্রেতার লাভের তুলনায় লোকসানই গুনতে হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ ও ৩৫০ টাকা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত