ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পেঁয়াজের দাম কমলেও বেড়েছে ডিমের দাম

পেঁয়াজের দাম কমলেও বেড়েছে ডিমের দাম

গত দু’দিনে রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম আরও কমেছে। বিপরীতে নতুন করে বেড়েছে ডিমের দাম। কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৫ টাকা। আর ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকার মতো বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর, কমলাপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। বিপরীতে ডিমের চাহিদা দাম বাড়তির দিকে। গত আগস্টে ভারতের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সরকার ৪০ শতাংশ শুল্কারোপ করে। এরপর গত অক্টোবরে পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয় টনপ্রতি ৮০০ মার্কিন ডলার। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে এসব পদক্ষেপ খুব বেশি কার্যকর না হওয়ায় গত ৭ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয়। ভারতের এ নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়ে পেঁয়াজের দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মুড়ি কাটা পেঁয়াজের দাম ওঠে ১৪০ টাকা পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতিতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, বাংলাদেশকে ভারত ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দেবে। রোজার শুতেই ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে চলে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তবে এক এক করে ১৫ রোজা চলে গেলেও ভারতের পেঁয়াজ এখনো বাংলাদেশের বাজারে আসেনি। অবশ্য ভারতের পেঁয়াজ না এলেও বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। তাতেই ধারাবাহিকভাবে কমছে পেঁয়াজের দাম। কিছুদিন আগে যে পেঁয়াজের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা ছিল এখন সেই পেঁয়াজ কোনো কোনো ব্যবসায়ী ৫৫ টাকায় বিক্রি করছেন। তবে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৬০ টাকা। পেঁয়াজের দামের বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, বাজারের আচরণ বোঝা খুব কঠিন। গতকাল আড়ত থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে এনেছি। আজ সেই পেঁয়াজের কেজি ৬০ টাকা বিক্রি করছি। কিছু করার নেই। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে পেঁয়াজের কেছি ১৪০ টাকা ছিল। কয়েক দফা দাম কমায় গত শুক্রবার পেঁয়াজের কেজি ৬৫-৭০ টাকা বিক্রি করেছি। এখন ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দাম কমলেও এখনকার পেঁয়াজের মান আগের পেঁয়াজের থেকে ভালো। বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে, এ কারণে দাম কমছে। তবে বাজারে এখন ভারতীয় কোনো পেঁয়াজ নেই। যদি ভারতের পেঁয়াজ বাজারে চলে আসে তাহলে দাম আরও কমতে পারে। এদিকে কিছুদিন আগে ১৪০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম মাঝে ১১০-১২০ টাকায় চলে আসে। গত শুক্রবারও এক ডজন ডিম ১২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়। তবে গত দু’দিনে ডিমের দাম নতুন করে বেড়েছে। এতে এখন এক ডজন ডিম ১২৫-১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা বেগুন ৪০-৫০ টাকা কেজি, শিম ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, সজনে ডাটা ৩০০-৩২০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০-৪০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৩০-৫০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। কাঁচামরিচের পোঁয়া বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা। ডাটার আটি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকায়। পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০-৩৪০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে লাল লেয়ার মুরগি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত