চালের দামও বেঁধে দেবে সরকার

প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সারাদেশে চালের দাম বেধে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী পয়লা বৈশাখ থেকে চালের দাম ঠিক করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরু চাল, চিকন চাল ও মোটা চাল এ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে এসে জাতভিত্তিক চালের নাম ও দাম ঠিক করা হবে। এজন্য এরই মধ্যে উৎপাদক, মিলমালিক, পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে চাল বিক্রির একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য এ তিন মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজটি করেছে। আগামী পয়লা বৈশাখ, অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল থেকে চালের নতুন দাম কার্যকর হবে। সরকার নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারবে আশা করে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা মনে করি, কোরবানির ঈদ পর্যন্ত পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারব। যদিও কিছু চ্যালেঞ্জ আছে এবং আপনারা সবাই তা জানেন। সরকার সেগুলো নিয়ে কাজ করছে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম গত রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা-বিষয়ক টাস্কফোর্সের বৈঠক শেষে চালের দাম বেধে দেওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজি খুচরা পর্যায়ে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হবে। ভারত থেকে আসা পেঁয়াজ আগামী দুই দিনের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ডিলারের মাধ্যমে টিসিবির খোলাবাজারে বিক্রি শুরু হবে। পেঁয়াজের প্রথম চালান পৌঁছানোয় এখন বাংলাদেশ চাহিদাপত্র দিলে বাকি পেঁয়াজ পাঠাবে ভারত সরকার। টিসিবির কিছু নিত্যপণ্য কম দমে বিক্রির ফলে বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশা করেন তিনি। গত ১৫ মার্চ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে মসুর ডাল, ছোলা, ডিম, পেঁয়াজ, আলু, ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংসসহ ২৯ পণ্যের দাম বেধে দেয় এবং এই নির্ধারিত দামে ব্যবসায়ীদের এসব পণ্য বিক্রির নির্দেশ দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত দাম তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন সময়ে মূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় কিছু কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চালকল মালিকদের বৈঠকে চালের দাম বেঁধে দেওয়া হয়। যদিও তা কার্যকর করা যায়নি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিত বিরতিতে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম ঠিক করে দেয়। তবে বাজার নির্ভর করে বিশ্ববাজার পরিস্থিতির ওপর। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গত সেপ্টেম্বরে আলু, ডিম ও দেশি পেঁয়াজের দাম ঠিক করে দিয়েছিল। এর কোনোটিই বাজারে কার্যকর হয়নি। চলতি রমজান উপলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল। তা কার্যকর করানোর তেমন কোনো চেষ্টা দেখা যায়নি।