ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দাম বেড়েছে সেমাই মসলা ও গুঁড়া দুধের

দাম বেড়েছে সেমাই মসলা ও গুঁড়া দুধের

ঈদ সামনে রেখে সেমাই, মসলা, গুঁড়ো দুধের বিক্রি বেড়েছে কাঁচাবাজারে। সেই সঙ্গে বছর ব্যবধানে বেড়েছে দামও। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ খানিকটা বাড়তি সব ধরনের মুরগির দর। অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হচ্ছে গরুর মাংসের জন্যও। তীব্র গরমের অতিষ্ঠ নগরবাসী স্বস্তিও পাচ্ছে না ঈদের আগের বাজার করতে গিয়ে। গরমের সঙ্গে পণ্যের বাড়তি দরে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের। ঈদের অন্যতম খাবারের অনুষঙ্গ সেমাইয়ের চাহিদা এসময় থাকে তুঙ্গে। কিন্তু দাম না কমে বরং কেজিতে মানভেদে বেড়েছে ৩০ থেকে ৮০ টাকা। সেমাইয়ের আরেক অনুষঙ্গ কিসমিসের দর ২০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭২০ টাকায়। বাড়তি বাদামসহ অধিকাংশ ঈদকেন্দ্রিক নিত্যপণ্যের মূল্যও। দাম আর ক্রেতার পকেটের চাপে পণ্য বিক্রিতে তেমন সাড়া পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এক ব্যবসায়ী বলেন, গত বছর লাল সেমাই বিক্রি করেছি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। এবার বেচছি ২৫০ টাকায়। আগের সাদা সেমাই বিক্রি করেছি ১৫০ টাকায়। এবার বেচছি ১৮০ টাকায়। এক ক্রেতা বলেন, এখন কোনো কিছুই কেনা যাচ্ছে না। সবকিছুর মূল্য বাড়তি। ফলে আগে যা নিতাম, সেটার চেয়ে অর্ধেক নিতে হচ্ছে। আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। সাধারণ চালের বাজারে ১৫ দিনের আগের বাড়তি দাম এখনো বিদ্যমান। তবে সুগন্ধি চালের বাজার সামলানোর যেন কেউ নেই। বছর ব্যবধানে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে পোলাও চালের দর। এক ক্রেতা বলেন, গত বছরের তুলনায় পোলাও চালের মূল্য বেড়েছে প্রায় দেড় গুণ। আরেক ক্রেতা বলেন, দাম যতই হোক এখন কেনায় লাগবে। ধার-দেনা করে হলেও কিনতে হবে। কারণ, ঈদে বসে থাকা যায় না।

গরুর মাংস তো দূরের কথা, নিম্নবিত্তের বিলাসী পণ্য ব্রয়লারের দাম বাড়তে বাড়তে কেজি ঠেকেছে ২৫০ টাকায়। সেই পালে হাওয়া লাগিয়ে সোনালী ৩৫০ আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭০০ টাকা কেজি পর্যন্ত। এক বিক্রেতা বলেন, খামারিরা বলেন মুরগির স্বল্পতা রয়েছে। তাই দাম বেশি হাঁকাচ্ছেন তারা। কিন্তু আমরা তো খামারে ঢুকি না। ফলে সেই দরেই কিনতে হচ্ছে আমাদের। পরে সেটা কম মূল্যে বেচতে পারছি না। চিনির কেজি ১৪০ টাকায় স্থির থাকলেও সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে পাম অয়েলের দাম। বাড়তি রয়ে গেছে ডাল, মসলাসহ অধিকাংশ নিত্যপণের দর।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত