ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘ঋণের কিস্তি’ বাড়াতে পারবে ব্যাংক

‘ঋণের কিস্তি’ বাড়াতে পারবে ব্যাংক

দেশে সুদহার বৃদ্ধির ফলে ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তির টাকার পরিমাণও বাড়ছে। এর ফলে সময়মতো ঋণের কিস্তি পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছেন গ্রাহকরা। এমন পরিস্থিতিতে ঋণের কিস্তির টাকার অঙ্ক না বাড়িয়ে ব্যাংকগুলো বাড়তি সুদ আদায়ের জন্য কিস্তির সংখ্যা বাড়াতে পারবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে পাঠিয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন সুদহারের কারণে মেয়াদি শিল্প ঋণ ও ব্যক্তি পর্যায়ের গৃহঋণের কিস্তির টাকার অঙ্ক বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেই তুলনায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়ছে না। এতে করে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে গ্রাহকদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক কিস্তির টাকার পরিমাণ না বাড়িয়ে কিস্তির সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গত বছরের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাংকগুলো যে সুদহারে কিস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করেছিল, সেটি অপরিবর্তিত রাখতে হবে। নতুন সুদহারের কারণে কোনো গ্রাহকের কিস্তির পরিমাণ বেড়ে গেলে অতিরিক্ত অর্থ স্থানান্তর করতে হবে সুদ বিহীন আলাদা ব্লকড হিসাবে। শিল্প ও গৃহঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন সুদহারের কারণে অতিরিক্ত যে অর্থ আলাদা হিসাবে যোগ হবে, তা আগের সমপরিমাণ কিস্তিতে পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য বাড়তি যে সময় লাগবে, সেই সময়ের মধ্যে বাড়তি সুদ পরিশোধ করা যাবে কিস্তিতে। এ ক্ষেত্রে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ঋণ স্থিতি বিবেচনায় নিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকগুলো তাদের নিয়মিত গ্রাহকদেরই এই সুবিধা দিতে পারবে।

প্রচলিত ব্যাংকিং ধারার পাশাপাশি ইসলামি শরিয়াহ ব্যাংকের গ্রাহকরাও একই ধরনের সুবিধা পাবেন। কিন্তু আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে অশ্রেণিকৃত ঋণের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া যাবে না। আবার রূপান্তরিত মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রেও এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। পাশাপাশি ঋণ খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বা কোনো কোম্পানিকে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার গঠিত প্রণোদনা বা বিশেষ তহবিলের আওতায় প্রদত্ত ঋণের ক্ষেত্রেও এই সুবিধা কার্যকর হবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের তৃতীয় মাস মার্চে ঋণের সুদহার হবে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ আর ভোক্তা ঋণের সুদহার পড়বে ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ আর জানুয়ারিতে ছিল ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ভোক্তা ঋণের সুদহার ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ ছিল। এভাবে ধারাবাহিক ঋণের সুদহার বাড়ছে। এতে গ্রাহকের কিস্তির অঙ্কও বেড়ে যাচ্ছে। তাই ঋণগ্রহীতার ঋণ পরিশোধের সুবিধার্থে ঋণের কিস্তির টাকার পরিমাণ না বাড়িয়ে কিস্তির সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত