পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে রেমিট্যান্সে সুবাতাস বইছে। চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে দেশে এসেছে ৮৭ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ১২ দিনে দেশে এসেছে ৮৭ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চ ও ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১২ দিনে যথাক্রমে দেশে এসেছিল ৮১ কোটি ৪৮ লাখ ও ৮৬ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। এদিকে এপ্রিলের প্রথম ১২ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭৫ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
রেমিট্যান্সে শীর্ষে ঢাকা : প্রতি মাসে বিদেশ থেকে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে, তার বড় অংশই আসে ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ব্যাংকের শাখাগুলোতে। রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। এরপরই রয়েছে সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালী। বাংলাদেশ ব্যাংকের জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয়ের আট মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে প্রবাসীরা দেশে ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আর গত ডিসেম্বরে দেশে প্রবাসী আয় আসে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, যা নভেম্বরে ছিল ১৯৩ কোটি ডলার। তথ্যমতে, আট মাসে ঢাকা জেলায় ৫২৩ কোটি ডলার ও চট্টগ্রাম জেলায় ১৪২ কোটি ডলার প্রবাসী আয় আসে। এই সময়ে সিলেট জেলায় ৮৭ কোটি, কুমিল্লায় ৮১ কোটি ও নোয়াখালীতে ৪৬ কোটি ডলার এসেছে। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ কোটি, ফেনীতে ৩৭ কোটি, মৌলভীবাজারে ৩৬ কোটি, চাঁদপুরে ৩৫ কোটি ও নরসিংদীতে ২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ২০২৩ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৯০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে যা ছিল ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ২০২৩ সালে প্রবাসী আয়ে প্রায় ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।