আইএমএফের দেয়া ১০টি শর্তের মধ্যে ৯টিই পূরণ করেছে বাংলাদেশ। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসছেন সংস্থাটির প্রতিনিধি দল। রিজার্ভ সহায়তা ঋণের বাকি অর্থ ছাড় পেতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। গত সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠকের প্রথম দিন শেষে সাংবাদিক এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বাংলাদেশকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার ব্যাপারে ২০২২ সালের নভেম্বরে প্রাথমিক সম্মতি দেয় ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড (আইএমএফ)। এরপর গত বছর ফেব্রুয়ারিতে এই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার ও ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি পেয়েছিলো বাংলাদেশ। রাজস্ব বাড়ানো এবং যৌক্তিক ব্যয় ব্যবস্থা চালু, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আধুনিক মুদ্রানীতি তৈরি, আর্থিক খাতের দুর্বলতা দূর করা, নজরদারি বাড়ানো, সরকার ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের আওতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পরিবেশে তৈরি, মানব দক্ষতা বৃদ্ধি, আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কাটাতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করে তোলা, পরিবেশের উন্নতির পদক্ষেপ নেয়া এবং জলবায়ু সংক্রান্ত খাতে আরো বিনিয়োগ ও আর্থিক সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ ১০ শর্তে এ ঋণ পায় বাংলাদেশ।