ফের শেয়ারবাজারে দরপতন
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদের আগে দেশের শেয়ারবাজার টানা দরপতন থেকে বেরিয়ে আসার আভাস দিলেও ঈদের পর পতনের মধ্যেই রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সবকয়টি মূল্যসূচক কমার মাধ্যমে ঈদের পর লেনদেন হওয়া দুই কার্যদিবসেই সূচক কমলো। তবে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে যাওয়া লেনদেন বেড়ে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে উঠে এসেছে।
গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচক কমলেও দাম কমার থেকে দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান। এর আগে দেশের শেয়ারবাজার অব্যাহত দরপতনের মধ্যে পড়লে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন ১ লাখ কোটি টাকার ওপরে কমে যায়। তবে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে টানা চার কার্যদিবস শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকে। ফলে ঈদের পর শেয়ারবাজার ইতিবাচক ধারায় থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল বিনিয়োগকারীদের। কিন্তু ঈদের ছুটি শেষে আবার শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কার্যদিবস গত সোমবার বড় দরপতনের পর গতকাল মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুর দিকে দাম কমার তালিকায় নাম লেখায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এতে এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৩ পয়েন্ট পড়ে যায়। তবে লেনদেনের শেষদিকে দাম কমার তালিকা থেকে বেরিয়ে আসে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। ফলে সূচকের পতনের মাত্রাও কমেছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৭৩ প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৯ প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া ৫৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকয়টি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৪০ কোটি ২৩ টাকার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৬৭ কোটি ৫৩ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার।