ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সাধারণত প্রতি বছর রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্স বাড়ে। তবে এবার তার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। গত সপ্তাহ শেষে রিজার্ভ ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার ছিল। হুন্ডিপ্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমাসহ বিভিন্ন কারণে রিজার্ভ কমেছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল ২০২১ সালের আগস্টে। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এরপর থেকে ডলার সংকট কাটাতে গিয়ে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে কমতে-কমতে গত নভেম্বর শেষে রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এরপর আবার বেড়ে ডিসেম্বরে ২১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন হয়। এরপর কমতে-কমতে গত মার্চ শেষে ১৯ দশমিক ৯১ বিলিন ডলারে নেমেছিল। এরপর গত সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল। গত মার্চে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই মাস বা আগের মাস ফেব্রুয়ারির তুলনায় কম। মূলত ১২৩-১২৫ টাকায় উঠে যাওয়া ডলারের দর হঠাৎ করে ১১২ থেকে ১১৫ টাকায় নামায় অনেকে আবার হুন্ডিতে টাকা পাঠাচ্ছেন। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ১ হাজার ৭০৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ৬০৪ কোটি ডলার। এ হিসেবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১০৪ কোটি ডলার বা ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। ব্যাংকাররা জানান, কয়েকদিন আগেও ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে প্রতি ডলারে ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা পাচ্ছিলেন প্রবাসীরা। গত ১০ মার্চ পর্যন্ত ডলারের দল স্থিতিশীল ছিল। তবে সোয়াপের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ডলার তুলে নেওয়ার পর থেকে ব্যাংকগুলো ডলার কেনা কমিয়ে দিয়েছে। এরপর কমতে-কমেতে গত মাসের মাঝামাঝিতে তা ১১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৩ টাকায় নেমেছিল। এদিকে হুন্ডিতে ডলারের দর পাওয়া যাচ্ছে ১২০ থেকে ১২১ টাকা। তবে ব্যাংকগুলো দর আবার বাড়িয়ে এখন ১১৫ টাকায় রেমিট্যান্স কিনছে।