ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শেয়ারবাজারে সংকট নিরসনে বিএসইসির তিন সিদ্ধান্ত

শেয়ারবাজারে সংকট নিরসনে বিএসইসির তিন সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ারবাজারে লাগাতার দর পতন ঠেকাতে তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ডিলার অ্যাকাউন্ট থেকে মার্কেটে সাপোর্ট দেওয়া, ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের সাথে বৈঠক করে বিনিয়োগ সক্রিয় করা এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ বাড়ানো। শেয়ারবাজারের চলমান সংকট মোকাবিলায় স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিএসইসির কার্যালয়ে গত সোমবার বিকালে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শেয়ারবাজারকে বর্তমান সংকট থেকে উত্তোরণে প্রাথমিকভাবে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময় শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে বিএসইসি। সেই বৈঠকগুলোতেও আজকের বৈঠকের মতোই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে শেয়ারবাজারে এসব সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রভাব তেমন দেখা যায়নি। ফলাফল পতনের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে শেয়ারবাজার। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএসইসির বৈঠকের খবরে শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান হলেও এটা স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এছাড়া বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগেও বিএসইসি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জানা গেছে, সর্বশেষ অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সংগঠন ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এবং প্রধান ১০টি ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারের অংশীজন এবং ব্রোকাররা বাজারের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করছেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বাজার সংশ্লিষ্টদের মতামত গুরুত্ব সহকারে মূল্যায়ন করে থাকে এবং পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টদের মতামত ও পরামর্শ এর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করাই বিএসইসির লক্ষ্য। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিরি উত্তরণে আজকের সভায় বাজার সংশ্লিষ্টদের মতামত ও পরামর্শ আমলে নিয়ে কাজ করবে বিএসইসি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও আর্থিক অবস্থান যেমন উন্নতি হচ্ছে এবং দেশের পুঁজিবাজারও দ্রুতই প্রাণবন্তও বলিষ্ঠ রূপে ফিরবে বলে আশা করা যায়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দ্রুতই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ও পুঁজির সুরক্ষা নিশ্চিত করে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন তরান্বিত করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত