ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

লজিস্টিক নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়নে অর্থায়ন নিশ্চিত জরুরি

ঢাকা চেম্বার
লজিস্টিক নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়নে অর্থায়ন নিশ্চিত জরুরি

লজিস্টিক নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়নে অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। ব্যবসায়ী সংগঠনটির মতে নতুন প্রণীত লজিস্টিক নীতিমালাটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হলে উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাস পাবে, উন্নয়ন হবে অবকাঠমো খাতের। গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিমত জানায় ডিসিসিআই।

বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, গত এক দশকে ৬ শতাংশের বেশি হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিকাশমান গতিধারা অব্যাহত রাখার বিষয়টি বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা থাকা সত্ত্বেও ব্যবসা পরিচালন ব্যয় (কস্ট অব ডুইং বিজনেস) সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ নিচের দিকে। বাংলাদেশ যেহেতু এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে রয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে দেশটির বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম শক্তিশালীকরণের পাশাপাশি বহুমুখীকরণের বিষয়টি প্রাধান্যের সঙ্গে বিবেচিত হচ্ছে যা ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার রূপকল্প বাস্তবায়নে সত্যিকার অর্থেই সহায়তা করবে। ডিসিসিআই জানায়, আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থাগুলো ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে প্রায় ৬০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন প্রাক্কলন করেছে। যদিও অবকাঠামো এবং লজিস্টিক খাতের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ আমাদের জন্য এখনও উদ্বেগের বিষয়। দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতি বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের আকাঙ্খার বাস্তবায়নে একটি সমন্বিত, নিরবচ্ছিন্ন এবং টেকসই লজিস্টিক নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়ন একান্ত অপরিহার্য। এমন বাস্তবতায় সরকার থেকে লজিস্টিক নীতিমালাটি প্রণয়নের জন্য দেশের বেসরকারিখাতের অন্যতম বাণিজ্য সংগঠন ঢাকা চেম্বার সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। লজিস্টিক নীতিমালাটি প্রথমবারের মতো দেশের বেসরকারি খাতের প্রয়োজনের নিরিখে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সরকার প্রণয়ন করেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় বেসরকারি খাতের আশা-আকাঙ্খা, উদ্যোগ ও গবেষণার তথ্যাদি নীতিমালাটি প্রণয়নের প্রতিটি স্তরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন প্রণীত লজিস্টিক নীতিমালাটি যদি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালন ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে, সেই সঙ্গে দেশের অবকাঠমো খাতের অনেক উন্নয়ন হবে মনে করে ঢাকা চেম্বার। এটা ধারণা করা হয় যে, লজিস্টিক অবকাঠমো খাতে বিনিয়োগ করা হলে প্রতিটি ডলার বিনিয়োগের বিপরীতে জিডিপিতে অবদান রাখবে বহুগুণ। ২০৪১ সালে বাংলাদেশের উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে লজিস্টিক নীতিমালাটি সময়পোযোগী ও আবশ্যকীয় একটি উদ্যোগ। এ ধরনের সময়পোযোগী উদ্যোগ গ্রহণের পরও ঢাকা চেম্বার বিশ্বাস করে দেশের অর্থনীতিতে লজিস্টিক নীতিমালার কার্যকর প্রভাব প্রতীয়মান করতে একটি ফাইন্যান্সিং স্ট্র্যাটেজি একান্ত আবশ্যক। যেটি দেশের অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে লজিস্টিক খাতে বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আমাদের বেসরকারিখাত ও বিনিয়োগকারীদের সম্যক ধারণা দিতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি এ নীতিমালায় ‘ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্সিং’ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা সংযুক্তির ওপর জোরারোপ করছে ডিসিসিআই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত