শুল্ক প্রত্যাহারসহ সাত দাবিতে এনবিআর ঘেরাও

প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বিড়ি শিল্পে শুল্ক প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ঘেরাও করেছেন বিড়ি শ্রমিকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ে এনবিআরের প্রধান কার্যালেয়ের সামনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের আয়োজনে এ ঘেরাও এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধুর আমলের মতো বাজেটে বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহার, বিড়ির ওপর বৈষম্যমূলক অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষণা করা, দেশিয় বিড়ি শিল্প ধ্বংসে বিদেশি সিগারেট কোম্পানির ষড়যন্ত্র বন্ধ, অবৈধ বিড়ি তৈরির কারখানা বন্ধ এবং বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের ১০ শলাকার প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা বৃদ্ধি করার দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে এনবিআর চেয়ারমান বরাবর সাত দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিক নেতারা।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, বিড়ি শিল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ি শিল্পে শুল্প বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা থাকলে সারাদেশের ২০ লাখ বিড়ি শ্রমিক নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব। হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলাঙ্গ, বিধবা ও অনাহারে পীড়িত মানুষের বেকারত্বের কথা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলের মতো বিড়ি শিল্পে শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেন বলেন, বিড়ি শিল্প বৈষম্যের শিকার হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে দেশি-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্রে বিড়ির ওপর মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ায় নকল বিড়ি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ আর বিদেশি কোম্পানির সিগারেটে ৩ শতাংশ।

তাই বিড়ি শিল্পের ওপর থেকে বৈষম্যমূলক এই অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া দেশে নিম্নস্তরের সিগারেট ভোক্তা ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ। বিদেশি কোম্পানির এসব নিম্নস্তরের ১০ শলাকার প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা বৃদ্ধি করা হলে আরো ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ হবে।