বাজেট ২০২৪-২০২৫
স্বস্তি ফেরাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় ৩০ পণ্যে কমছে কর
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার স্থিতিশীল রাখা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে অন্তত ৩০ প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য সরবরাহের ওপর উৎসে কর কমানো হচ্ছে। আসছে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এসব পণ্যে উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। যদি প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয় তবে বাজারে এই পণ্যগুলো আগের চেয়ে কমমূল্যে কিনতে পারবেন ভোক্তারা। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রানুসারে পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্যতেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা এবং সব ধরনের ফলসহ ৩০ পণ্য। অন্যদিকে প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধ আমদানিতে করহার কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আড়াই কেজি ওজন পর্যন্ত গুড়াদুধের ওপর করহার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫৮ দশমিক ৬০ শতাংশ করার প্রস্তাব আসছে। বর্তমানে গুঁড়া দুধের বাল্ক আমদানিকারকদের জন্য মোট করহার ৩৭ শতাংশ।
আর আগে গত ১৪ মে গণভবনে বাজেটবিষয়ক সভায় বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকেও নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার স্থিতিশীল রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান, আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস অনুবিভাগের বাজেট বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। ওই সভায় কৃষি উপকরণ ও সার আমদানিতে শুল্ক না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশে। খাদ্যদ্রব্য ও খাদ্য-বহির্ভূত জিনিসপত্রের ক্রমাগত মূল্য বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মার্চ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আগের মাসের ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশে। আর খাদ্যবহির্ভুত খাতে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে। এপ্রিল মাসে শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকার মানুষ বেশি পরিমাণে মূল্যস্ফীতির শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।