রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ মেট্রিক টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৯৭ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার, ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার এবং ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রো কেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনাজাত) থেকে ১৪তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ২৮০ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ২৭৯ দশমিক ৬৭ মার্কিন ডলার। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ওসিপি এস এ মরক্কো এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ওসিপি এসএ মরক্কোর কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান জাহেদা পারভীন। তিনি জানান, এতে ব্যয় হবে ১৩৪ কোটি ৫২ লাখ ৫৭ হাজার ৭৫ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৮০ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩৭৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরব এবং বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মা’আদেনের কাছ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ২৪৪ কোটি ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৫১৯ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৫১৯ মার্কিন ডলার।