আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক এবং ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দিতে হবে। এতে টানা ৩৬ বছর ধরে সংসদ সদস্যরা যে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা পেতেন সেটি বন্ধ হচ্ছে। তবে সাধারণ নাগরিকদের গাড়ি আমদানিতে এর কয়েকগুণ কর দিতে হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ সংসদ সদস্যই জাপান থেকে বিভিন্ন ব্র্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি করেছেন।
এসব গাড়ির মধ্যে টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, রেঞ্জ রোভার, মিতসুবিসি পাজেরো অন্যতম। সাধারণ নাগরিকদের এসব গাড়ি আমদানি করতে ১০০ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক দিতে হয়। এর বাইরে গাড়ির ইঞ্জিন ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে দিতে হয় নানাবিধ সম্পূরক শুল্ক এবং ভ্যাট। বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট মেটাতে সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নিচ্ছে। এ ঋণের শর্ত হিসেবে সরকারকে রাজস্ব আয় বাড়াতে কর অব্যাহতি সুবিধা ক্রমান্বয়ে তুলে নেওয়ার অংশ হিসেবে সরকার সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে শুল্ক অব্যাহতি সুবিধা তুলে নিতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
১৯৮৮ সালের ২৪ মে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে তৎকালীন সরকার সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক ও কর প্রদানে অব্যাহতি সুবিধা দিয়েছিল। এটি এখনও বহাল আছে। এ সুবিধায় ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত সংসদ সদস্যরা গত ১৫ বছরে মোট ৫৭২টি গাড়ি আমদানি করেছেন। এসব গাড়ির মূল্য ছিল প্রায় ৩৯৭ কোটি টাকা। শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধা নিয়ে ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা শুল্ক মওকুফ পেয়েছেন তারা।