ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এখনো জমেনি ঈদের কেনাকাটা

ভিড় নেই শপিংমলে
এখনো জমেনি ঈদের কেনাকাটা

আর মাত্র এক সপ্তাহ পর ঈদুল আজহা। মুসলমানদের অন্যতম প্রধান এ ধর্মীয় উৎসবে একে-অন্যের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবে সবাই। যে কোনো উৎসবে নতুন পোশাকের চাহিদা থাকে সবারই। তবে ঈদ ঘনিয়ে এলেও এখনো জমে ওঠেনি রাজধানীর অধিকাংশ শপিংমল ও মার্কেটগুলো। ঈদের দুই-তিন দিন আগে ক্রেতা সমাগম ও বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুম ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। একজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, কোরবানির ঈদে তেমন নতুন কোনো পণ্য আসে না। এ সময় বিদেশি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য আমদানিও কম হয়। এছাড়া রোজার ঈদে নতুন পোশাক কেনার পর কোরবানির ঈদে তেমন চাহিদা থাকে না। ফলে বিক্রিও কম হয়। আরেকজন বিক্রেতা বলেন, রোজার ঈদের তুলনায় কোরবানির ঈদে বিক্রি সাধারণত কমই হয়। এরপরও ঈদের আগের তিন দিন কিছুটা ভালো বিক্রি হয়ে থাকে। বছরের অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদের সময় বিয়ের আয়োজন হয়ে থাকে বেশি। ফলে এ সময়ে বাড়ে সোনার গয়নার চাহিদা। তবে এখন পর্যন্ত জুয়েলারিতে ওভাবে বিক্রি বাড়েনি। জুয়ালার্সের একজন বিক্রেতা জানান, বর্তমানে সোনার দাম অনেক চড়া। দাম বেশি থাকায় সোনার গয়নার চাহিদা কমে গেছে। ফলে সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না। একজন ক্রেতা তার চার বছরের মেয়ের জন্য জামা কিনতে আসেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য কী কিনেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রোজার ঈদে সবার জন্য কিনেছি। এখন তো আবার সবার জন্য বাজেট করা যাবে না। সংসারের খরচ যেভাবে বেড়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতেই হিমশিম অবস্থা। ঈদে যে বোনাস পেয়েছি তা কোরবানি দিতে আর বাড়িতে যাওয়া-আসায় শেষ হয়ে যাবে।’ এক দোকানের কর্মচারী বলেন, ‘এই মার্কেটে বেচা-বিক্রি তেমন নেই। একসময় খুব ভালো বিক্রি হলেও এখন তেমন একটা হয় না। তাছাড়া এমনিতেও কোরবানির ঈদে রোজার ঈদের মতো বিক্রি হয় না।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত