রপ্তানিমুখি গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পের বিকাশ ও অর্থনেতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে নতুনভাবে আরোপিত ও বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার চান বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়া-সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বিজিপিএমইএর সভাপতি মো. শাহরিয়ার।
গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতে উৎসে কর আগামী ৫ বছরের জন্য ০.৫০ শতাংশ ধার্যকরণপূর্বক কর্তিত উৎসে করকে চূড়ান্ত কর দায় হিসেবে নিষ্পত্তি করার দাবি জানান এ ব্যবসায়ী নেতা। প্রস্তাবিত বাজেটের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে স্বাগত জানিয়ে শাহরিয়ার বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে একক ব্যক্তির মালিকানাধীনসহ সব কোম্পানির কর্পোরেট কর হ্রাস করায়, ভ্যাট আপিলের ক্ষেত্রে দাবিকৃত অর্থের ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ জমা দেয়ার প্রস্তাব করায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনেকগুলো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর করের হার অর্ধেক করায়, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করায় আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া, ইনডিভিজুয়াল ব্যক্তির মতো কোম্পানির ক্ষেত্রেও সর্বজনীন স্ব-নির্ধারণী পদ্ধতিতে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা করার জন্যও তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’‘তবে, আমরা প্রস্তাবিত বাজেটকে জনবান্ধব এবং ব্যবসাবান্ধব হিসেবে বলব কি না, তাতে দ্বিধান্বিত হচ্ছি এ কারণে যে, মূল্যস্ফীতি কম থাকলে কর্মসংস্থান বাড়ে, আয়ের উৎসও বাড়ে, ছোট ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রসারের সুযোগ-সুবিধা পায়। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে এ উদ্দেশ্য অর্জনে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা নেই। তাছাড়া, যেখানে কর প্রদানকারীদের কর হার বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে সেখানে অপ্রদর্শিত ও কালো টাকা ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ প্রদানকে আমরা যৌক্তিক মনে করি না।’ বলেন শাহরিয়ার।