ঈদের টানা পাঁচ দিন ছুটি শেষে খুলছে ব্যাংক, বিমা, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবে মতিঝিল ব্যাংকপাড়ায় এখনো বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। চিরচেনা প্রাণচাঞ্চল্য ও ব্যস্ততা নেই। তবে প্রথম কর্মদিবসে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক, যারা এসেছেন তাদের কাজের চাপ কম থাকায় গল্পগুজব আর ঈদের কুশল বিনিময় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
গতকাল রাজধানীর ব্যাংক পাড়া মতিঝিল, দিলকুশা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিকে ব্যাংকগুলোতে কাজের চাপ কম থাকায় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন অনেকে। বাংলাদেশ ব্যাংকেরও একই চিত্র।
মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, টানা পাঁচ দিন ছুটির পর ব্যাংক খুলেছে। অন্যান্য সময় ঈদের পর যেভাবে ঢিলেঢালাভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলে এবারও একই অবস্থায় চলছে। আগামীকাল এমনই যাবে। আগামী রোববার নাগাদ ব্যাংকিং কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কর্মী উপস্থিতি কেমন জানতে চাইলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এ কর্মকর্তা জানান, কিছু কর্মী ঈদে অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছেন। বাকিরা সবাই আজকে উপস্থিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ব্যাংকে কর্মী উপস্থিতি ৮০ শতাংশের বেশি হবে। যারা ব্যাংকে আসছে আমরা তাদের সেবা দিচ্ছি। সিটি ব্যাংকে আসা এক গ্রাহক রাফসান জানান, ব্যাংকে একটা ডিপিএস খুল তে এসেছি। অন্য সময় ব্যস্ততা থাকে, ব্যাংকেও ভিড় থাকে। এখন ফ্রি আছি। এছাড়া ঈদের সময় ভিড় কম তাই কম সময়ে করলাম। এছাড়া ঈদের ঢাকা ফাকা রাস্তায় যানজট নেই; কম সময়ে কাজ সেরে ফেললাম।
ত্যাগের মহিমায় সারা দেশে গত সোমবার পালিত হয় মুসলমানদের অন্যতম বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষ্যে ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন (রোব, সোম ও মঙ্গলবার) তিনদিন ছুটি ছিল। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। এ কারণে এবারের ঈদের ছুটি পড়েছে পাঁচ দিন। ফলে টানা পাঁচদিন ঈদের ছুটি শেষে বুধবার অফিসপাড়ায় যোগ দিয়েছেন কর্মজীবীরা। খুলেছে ব্যাংক-বিমা, শেয়ারবাজার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তবে যারা ঢাকার বাইরে ঈদ করতে গেছেন, তাদের অনেকে এক-দুই দিন ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। ফলে অফিস আদালতে পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু হতে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যাবে।