ব্যাংকিং খাতের মতো দুর্দিনে ঘুরপাক খাচ্ছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানও (এনবিএফআই)। এসব প্রতিষ্ঠানের আমানতে ব্যাপক টান পড়েছে। আস্থার সংকট এবং নানা অনিশ্চয়তায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাচ্ছেন আমানতকারী। এসব প্রতিষ্ঠানে এক বছরে আমানতকারী কমেছে প্রায় ৫৯ হাজার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের মার্চে এ খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫৪ জন। চলতি বছরের মার্চে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৭ হাজার ৩৪১ জন। এক বছরের ব্যবধানে আমানতকারীর হিসাব কমেছে ৫৯ হাজার ২১৩টি। এর মধ্যে পুরুষ আমানতকারীর হিসাব কমেছে ৪১ হাজার ৯৩০টি। আর মহিলা আমানতকারীর হিসাব কমেছে ১৭ হাজার ৫৮৫টি। এদিকে গত ডিসেম্বরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলে মোট আমানতকারীর হিসাবের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩১ হাজার ২২১, যা চলতি বছর মার্চ মাস শেষে নেমে এসে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৭ হাজার ৩৪১। এর মানে গত তিন মাসের ব্যবধানে খাতটিতে সার্বিক আমানতকারীর সংখ্যা কমেছে ৩ হাজার ৮৮০। এর মধ্যে মহিলা আমানতকারীর হিসাবের সংখ্যা কমেছে ২ হাজার ৪৯০টি। তবে পুরুষ আমানতকারীর হিসাব বেড়েছে ৪২৮টি। অন্যদিকে একই সময়ে পুরুষ প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীর হিসাব কমেছে ১ হাজার ৮২৫টি। আর মহিলা প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীর হিসাব কমেছে ৩টি। বর্তমানে দেশে ৩৪টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালু আছে। এগুলোর মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি বাদে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই রয়েছে তারল্যসংকটে। অবস্থা এমন পর্যায়ে গেছে, আমানতকারীদের টাকাও ফেরত দিতে পারছে না অনেক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে অন্তত ১৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থা এখন নাজুক, যাদের ৩৩ থেকে ৯৯ শতাংশ ঋণই খেলাপি হয়ে পড়েছে।