ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আগ্রহ কম গ্রাহকের

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আগ্রহ কম গ্রাহকের

দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের আর্থিক লেনদেনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম এজেন্ট ব্যাংকিং। কয়েক বছর ধরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের প্রচার ও প্রসার। বাড়ছে হিসাব ও আমানত। তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কমেছে লেনদেন ও ঋণ বিতরণ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মার্চের তুলনায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ কমেছে ১৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ। লেনদেন কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৪১ লাখ ৪৬ হাজার ৩০৩টি। লেনদেনের পরিমাণ ৬৭ হাজার ৪৫৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। মার্চে লেনদেনের সংখ্যা ছিল এক কোটি ৫৩ লাখ ২৫ হাজার ১৭১টি। লেনদেন হয়েছিল ৭২ হাজার ৯৫৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা। সে হিসেবে মার্চের তুলনায় এপ্রিলে লেনদেন কমেছে ১১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৬৮টি। লেনদেনকৃত টাকার পরিমাণ কমেছে পাঁচ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে এপ্রিলে শহরাঞ্চলে লেনদেন হয়েছিল ১৫ হাজার ৯৫৫ কোটি ও প্রন্তিক পর্যায়ে লেনদেন হয়েছে ৫১ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। যা মার্চে শহরে লেনদেন ছিল ১৫ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা, গ্রামে লেনদেন হয়েছিল ৫৬ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা।

তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এজেন্টগুলোর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৭২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। যা গেল মার্চে ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল ৮৮৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এপ্রিলে ঋণ বিতরণ কম হয়েছে ১৬২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। তবে এই সময়ের শহরের থেকে গ্রাম বা প্রান্তিক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ বেশি কমেছে। এই সময়ের মধ্যে শহরের এজেন্টগুলো বিতরণ করেছে ২৪৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। যা মার্চে ছিল ৩০৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ঋণ বিতরণ কমেছে ৬২ কোটি টাকা। এছাড়াও এপ্রিলে গ্রামের এজেন্টগুলো বিতরণ করা হয়েছে ৪৭৮ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা মর্চে ছিল ৫৭৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। সে হিসেবে কমেছে ১০০ কোটি টাকা।

তবে লেনদেন ও ঋণ বিতরণ কমলেও বেড়েছে আমানত ও হিসাব সংখ্যা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিল শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৯৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। মার্চে আমানতের পরিমাণ ছিল ৩৬ হাজার ৯৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আমানত বেড়েছে ৮৫০ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এছাড়াও এপ্রিল শেষে হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ২৫ লাখ ৩২ হাজার ১৪৭টিতে। যা মার্চে ছিল দুই কোটি ২২ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩টি। হিসাব সংখ্যা বেড়েছে দুই লাখ ৮৩ হাজার ১১৪টি। হিসাবগুলোর মধ্যে শহরের হিসাবের সংখ্যা ৩১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪টি এবং গ্রামে রয়েছে এক কোটি ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৩টি হিসাব। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে ৩১টি ব্যাংকে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম সেবা চালু রয়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে এজেন্টের সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৮৩৫টি। আর পরের মাস এপ্রিল শেষে এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৪০টিতে। এর মধ্যে শহরের এজেন্ট রয়েছে দুই হাজার ৫০৫টি এবং গ্রামে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখা রয়েছে ১৩ হাজার ৩৩৫টি। অপরদিকে, মার্চ শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট ছিল ২১ হাজার ৬১৩টি। আর এপ্রিল শেষে আউটলেটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫১৭টিতে। এসব এজেন্ট ও আউটলেটের প্রায় অধিকাংশই গ্রামে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত