এক কার্যদিবস মূল্য সংশোধনের পর গতকাল মঙ্গলবার দেশের শেয়ারবাজারে আবার ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবক’টি মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মাধ্যমে শেষ সাত কার্যদিবসের মধ্যে ছয় কার্যদিবস শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলল। আর ১০ কার্যদিবস পর ডিএসইতে পাঁচশ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো।
এর আগে ঈদের আগে দুই কার্যদিবস এবং ঈদের পর তিন কার্যদিবস মূল্যসূচক বাড়ে। অর্থাৎ টানা পাঁচ কার্যদিবস সূচক বাড়ে। টানা পাঁচ কার্যদিবস সূচক বাড়ার পর গত সোমবার মূল্যসূচক কমে। তবে মঙ্গলবার আবার ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলল।
গতকাল মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয় এবং লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ প্রবণতা অব্যাহত থাকে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৭১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬২ প্রতিষ্ঠানের।
এছাড়া ৬১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২৪১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫২৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৭৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৪৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ারের শেয়ার।
কোম্পানিটির ৫৩ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার। ১৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ক্যাপটিভ গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ওরিয়ন ফার্মা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিস এবং ফরচুন সুজ।