ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কমেছে বিদেশি ঋণ

কমেছে বিদেশি ঋণ

দেশে বিদেশি ঋণের পরিমাণ কমেছে প্রায় ১৩৫ কোটি ডলার। চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে বিদেশি ঋণের স্থিতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার। যা আগের বছর (২০২৩ সাল) ডিসেম্বর শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৬৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ তিন মাসে বিদেশি ঋণ কমেছে ১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার বা ১৩৪ কোটি ডলার। যা সে গত বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ছিল ৯৬ দশমিক ৫৪ বিলিয়ান ও তার আগে জুন প্রান্তিকে ছিল ৯৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়- মার্চে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেরই বিদেশি ঋণের পরিমাণ কমেছে। মার্চ মাস শেষে বাংলাদেশ সরকারের বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৯ বিলিয়ন বা ৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলার, গত ডিসেম্বর মাস শেষে যা ছিল ৭৯ দশমিক ৬৯ বা সাত হাজার ৯৬৯ কোটি ডলার। সেই হিসাবে গত তিন মাসে সরকারি খাতে বিদেশি ঋণ কমেছে ৬৮৯ মিলিয়ন বা ৬৮ দশমিক ৯০ কোটি ডলার। তার আগে সেপ্টেম্বরে এই খাতে ঋণের পরিমাণ ছিল ৭৫ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ও তার আগের প্রন্তিক জুনে ছিল ৭৫ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। এছাড়াও সরকারের পাশাপাশি অন্য সরকারি সংস্থাগুলোর ঋণের পরিমাণও কমেছে গত তিন মাসে। মার্চ শেষে সরকারের সরাসরি নেওয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক ৮১ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৭৮১ কোটি ডলার, ডিসেম্বর মাস শেষে যা ছিল ৬৭ দশমিক ৯১ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৭৯১ কোটি ডলার। আর মার্চ শেষে সরকারি অন্যান্য সংস্থাগুলোর বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন বা এক হাজার ১১৮ কোটি ডলার, ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন বা এক হাজার ১৭৭ কোটি ডলার। অপরদিকে চলতি বছরের মার্চ শেষে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বর মাস শেষে যা ছিল ২০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। ফলে গত তিন মাসে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ কমেছে ৬৪৬ মিলিয়ন বা ৬৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার। তারও আগে সেপ্টেম্বরে যা ছিল ২১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ও জুনে যা ছিল ২২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।

প্রতিবেদনে অনুযায়ী- মার্চে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ০৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১০৪ কোটি ডলার। ডিসেম্বরে যা ছিল ১১ দশমিক ৭৯ ডলার। সে হিসেবে কমেছে ৭৫১ কোটি ডলার। এসব ঋণের মধ্যে বাণিজ্যিক ঋণের পরিমাণ ৭৪৬ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। বাণিজ্যিক ঋণের বেশিরভাগ বায়ার্স ক্রেডিট, যার পরিমাণ প্রায় ৫৬৯ কোটি ডলার। এছাড়া বিদেশি ব্যাক টু ব্যাক এলসির ঋণ রয়েছে প্রায় ৯৫ কোটি ৫১ লাখ ডলার। আর ডেফার্ড পেমেন্টের ঋণ রয়েছে ৮২ কোটি ৪৩ লাখ ডলার।

তবে মার্চে বেসরকারি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বেড়ে ৯২ দশমিক ৫৬ বিলয়ন বা ৯ হাজার ২৫৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ডিসেম্বরে যা ছিল ৯১ দশমিক ৫৩ ডলার। সে হিসেবে বেড়েছে ১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। উল্লেখ্য, সম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ গ্রহণ ব্যাপকহারে বেড়েছে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে বেড়েছে ঋণ। গত ডিসেম্বরে দেশের মোট বিদেশি ঋণ প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। মার্চে এসে তা কিছুটা কমল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত