পতন কাটিয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরতে শুরু করেছে দেশের শেয়ারবাজার। ধারাবাহিকভাবে মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বাড়ছে। প্রায় দেড় মাস পর শেয়ারবাজারে ৭০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের দেখা মিলেছে। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে ডিএসইতে ৭০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে শেষ ৯ কার্যদিবসের মধ্যে আট কার্যদিবস শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলল। আর ২৯ কার্যদিবস বা প্রায় দেড় মাসের পর ডিএসইতে ৭০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো। এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৯টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫২ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯২২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭০৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬০৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১০০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে গত ১৩ মে’র পর ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো। এ লেনদেন বাড়াতে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে রূপালী ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ারের ৩৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, রেনেটা লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ক্যাপটিভ গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড এবং পিপলস ইন্স্যুরেন্স। অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৬৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৯টির এবং ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা।