ফল ও সবজির রপ্তানি বাড়াতে পর্যাপ্ত এয়ার কার্গো চান ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ফল, শাকসবজিসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি সম্প্রসারণে পর্যাপ্ত এয়ার কার্গো চান রপ্তানিকারকরা। পাশাপাশি রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বিমানের ভাড়া বা ফ্রেইট কস্ট যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার দাবি জানিয়েছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। এছাড়া পচনশীল কৃষিপণ্য পরিবহণের জন্য প্রয়োজনে ডেডিকেটেড কার্গোব্যবস্থা চালুর পক্ষেও মতো দিয়েছেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট অব ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবলবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকরা এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান এবং মনসুর জেনারেল ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনসুর। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, ডলার সংকট, বাড়তি বিমান ভাড়া, কাস্টমস এবং এইচএস কোড-সংক্রান্ত নানা জটিলতার কারণে পণ্য আমদানি ও রপ্তানির ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে। পণ্য আমদানি রপ্তানি-সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে এফবিসিসিআই এরই মধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায়ের আলোচনা করেছে বলেও জানান তিনি। এ সময় ফল ও শাকসবজি আমদানি রপ্তানিতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং করণীয় নির্ধারণে কমিটির সদস্যদের কাছে সুচিন্তিত মতামত আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব তুলে ধরে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ফল, শাকসবজিসহ কৃষিপণ্য রপ্তানিতে শতভাগ স্থানীয় ভ্যালু অ্যাডিশন হয়। সুতরাং, এসব পণ্যের রপ্তানি বিঘ্নিত করা যাবে। রপ্তানি বাড়াতে বিমান ভাড়া, কাগো প্রাপ্তি, কাস্টমসসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। পাশাপাশি, উপযুক্ত পলিসি এবং নির্ভুল তথ্যভান্ডার গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তিনি। সভার উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে ফল ও শাকসবজি রপ্তানির জটিলতা দূর করতে বিমান বন্দরে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন স্ক্যানার (ইডিএস) মেশিনসহ কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ জানান কমিটির সদস্যরা। এছাড়া কৃষকের হাতের নাগালে আধুনিক ওয়্যারহাউজ স্থাপন, উন্নত পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, পচনশীল পণ্যের জন্য বিমানবন্দরে বিশেষ ওয়্যারহাউজ স্থাপন, কৃষিপণ্যের জাত এবং গুণগতমান উন্নয়ন, চাষ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা (পোস্ট হার্ভেস্ট ম্যানেজমেন্ট) উন্নত করা, প্যাকেজিং প্রভৃতি বিষয়ে কৃষক, রপ্তানিকারকসহ অন্যান্য অংশীজনদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব জানানো হয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে।