সর্বজনীন পেনশন স্কিম থাকবে আয়করমুক্ত
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন ছাড়াই গত শনিবার জাতীয় সংসদে অর্থবিল ২০২৪ পাস হয়েছে। আর গতকাল রোববার সংসদে পাস হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট। অর্থবিলে বেশকিছু সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু নতুন প্রস্তাবও পাস হয়েছে। এর অন্যতম হলো সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আয় পুরোপুরি করমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ট্রাস্টের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর বসবে এবং ব্যক্তিগত একাধিক গাড়ি থাকলেই কেবল এখন থেকে সারচার্জ বসবে। এছাড়াও একজন করদাতা কোনো অর্থবছরে আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি কর দিলে তার নথি নিরীক্ষায় ফেলা হবে না। আর আগের মতোই অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক এলাকায় বিনিয়োগকারীরা বিনাশুল্কে যন্ত্রপাতি আমদানি করতে পারবেন উদ্যোক্তারা। এবারের বাজেটে এসব যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর ১ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক বসানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত ৬ জুন বাজেট ঘোষণার পর থেকে মুঠোফোনে বাড়তি কর, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া এবং করমুক্ত আয়সীমা না বাড়ানো নিয়ে সমালোচনা হয়। অপরদিকে ধনীদের ওপর বাড়তি কর আরোপ এবং সংসদ সদস্যের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা বাতিল করে কিছু শুল্ক আরোপের উদ্যোগের বিষয়টির প্রশংসা করা হয়। বাজেট প্রস্তাব করার সময় শহর-গ্রাম নির্বিশেষে দেশের যে কোনো স্থানে কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করলে আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, রিটার্ন জমার স্লিপ (প্রমাণপত্র) ছাড়া কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করা যাবে না। তবে গত শনিবার অর্থবিল পাসের সময় প্রস্তাবটিতে সংশোধনী আনা হয়েছে। এর ফলে শুধু সিটি করপোরেশন এলাকায় কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করতে এখন রিটার্ন জমার স্লিপ লাগবে। বিয়ে ছাড়াও বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন, গায়েহলুদ, খতনাসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান করতে কমিউনিটি সেন্টার ও মিলনায়তন ভাড়া করা হয়। বর্তমানে ৪৩ ধরনের সেবা পেতে রিটার্ন জমার কপি লাগে। এই তালিকায় কমিউনিটি সেন্টার ও মিলনায়তন ভাড়া ছাড়া আরো কয়েকটি খাত যুক্ত করা হয়েছে।
যেমন- হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নিবন্ধন এবং নবায়নে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা এনে যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছিল, তা পাস করা হয়েছে। গতকাল রোববার সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পাস হয়েছে। আজ থেকে এই বাজেট কার্যকর হবে।