ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন

কাপ-আপ প্রকল্পের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা

কাপ-আপ প্রকল্পের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা

রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ে গতকাল রোববার কাপ-আপ প্রকল্পের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. আবুল কালাম আজাদ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি ও চেয়ারম্যান কোর কমিটি প্রফেসর ড. গোলাম রহমান, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এএফএম গোলাম শরফুদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুুল আলম। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের শিক্ষা ও টিভিইটি সেক্টরের যুগ্ম পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

কাপ-আপ প্রকল্পের বার্ষিক অগ্রগতির পর্যালোচনা-২০২৪ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন কো-অর্ডিনেটর-মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন শেখ শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তারা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। একজন অন্ধ মানুষের কাছে যেমন দুনিয়া অন্ধকার তেমনি শিক্ষাহীন মানুষের কাছে দুনিয়াটা অন্ধকারই। ঝরেপড়া শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন। সেই জায়গা থেকে আপনারা (শিক্ষকরা) আলোকিত মানুষ তৈরিতে কাজ করছেন।

তিনি আরো বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের শিক্ষা সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তিনি এ প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, King Abdullah Humanitarian Foundation (KAHF) এর আর্থিক সহায়তায় এবং PCO-IsDB এর কারিগরি সহায়তায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন কাপ-আপ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কাপ-আপ প্রকল্পটির মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের তিনটি কম্পোনেন্ট প্রাক-প্রাথমিক ৭৫টি, প্রাথমিক-৭৫টি এবং জুনিয়র সেকেন্ডারি শিক্ষা-৪৫টিসহ মোট ১৯৫টি শিশু শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করছে।

ঢাকা জেলার মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এবং নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর তিনটি এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটি পাঁচ (জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত) বছরের মধ্যে ২৯,২৫০ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা (NFE) প্রদান করছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত